কোরবানির হাটে পশু বিক্রি করে বাড়ি ফিরছিলেন দুই ব্যবসায়ী। পথিমধ্যে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন তারা। এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন কল পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ফেনীর দাগনভূঁঞা থানা পুলিশ। এসে হাতেনাতে এক ছিনাতাইকারীকে ধরে ফেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি। গরু ব্যবসায়ীর এমন বুদ্ধিমত্তায় তাদের কাছে থাকা ১৫ লাখ টাকা ছিনতাই করতে পারেনি দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার দুপুরের দিকে এই ঘটনা ঘটে। গ্রেফতার ছিনতাইকারীর নাম মো. জাকির হোসেন (৩০)। তিনি দাগনভূঞা উপজেলার আজিজ ফাজিলপুর গ্রামের বাসিন্দা। পলাতক দুইজনও একই গ্রামের বাসিন্দা। তারা হলেন মো. সোহেল (২৫) ও মো. শাকিল (২৪)। পলাতক দুজনেকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
টাকা ছিনতাই হওয়া গরু ব্যবসায়ীর নাম নিজাম উদ্দিন (৩৯)। তিনি লহ্মীপুর সদর উপজেলার চর রুহিতিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ী জানান, তিনি ও তার একজন অংশীদার ট্রাকে করে কোরবানির হাটে কয়েকটি গরু ও মহিষ নিয়ে বিক্রির জন্য ফেনীর ছাগনাইয়া বাজারে যান। গরু ও মহিষ বিক্রি করে টাকা নিয়ে একটি অটোরিকশাযোগে ফেনীর দাগনভূঁঞা হয়ে নোয়াখালীর চৌমুহনীর উদ্দেশে রওয়ানা হন তারা। দুপুর ১২টার দিকে দাগনভূঞা উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্টের অদূরে ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ সড়কের মাথা নামক স্থানে পৌঁছার পর অস্ত্র হাতে তিন যুবক তাদের অটোরিকশার গতিরোধ করেন। ছিনতাইকারীরা গরু ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিনকে অটোরিকশা থেকে টেনে নামিয়ে সড়কের পাশে একটি দোকানে ঢুকিয়ে দোকানের শার্টার বন্ধ করে দেন।
তার সঙ্গে থাকা অপর গরু ব্যবসায়ী ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চায়। ফোন পেয়ে দ্রুত দাগনভূঞা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকানের ভেতর থেকে ওই ব্যবসায়ীকে টাকাসহ উদ্ধার করে। পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ একজনকে ধাওয়া করে গ্রেফতার করে। অপর দুইজন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গরু ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে দাগনভূঞা থানায় একটি মামলা করেন।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।