রংপুর পরিবহণ মালিক সমিতির ডাকা দুই দিনের পরিবহণ ধর্মঘটে অচল উত্তরের জেলা নীলফামারী। এ কারণে বিএনপির রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে নীলফামারীর সৈয়দপুরের হাজার হাজার নেতাকর্মী ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যানে রওনা দিয়েছেন।
প্রায় ৭০০ রিকশা-ভ্যানের বহরটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন সৈয়দপুর জেলা বিএনপির নেতা আব্দুল খালেক ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক লোকমান হাকিম।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সৈয়দপুর কামারপুকুর, চিকলী ও খিয়ার জুম্মা নামক স্থান থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যানগুলো।
বিএনপির সৈয়দপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার বলেন, রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ সমাবেশে যেন নেতাকর্মীরা কোনোক্রমেই উপস্থিত হতে না পারে; এ কারণে সমাবেশের দুদিন আগে থেকেই পরিবহণ বন্ধ রাখা হয়েছে। বিএনপি কোনো সমাবেশের ডাক দিলেই আওয়ামী সরকার সব সময় এমনটাই করে থাকে। তবে সব বাধাবিঘ্ন উপেক্ষা করে সমাবেশ সফল করা হবে। রংপুরের গণসমাবেশ হবে জনসমুদ্র।তাই বাস-ট্রাক সড়কে চলাচল না করায় বিকল্প হিসেবে এই পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে।
তবে নীলফামারী বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি শাহনেওয়াজ শানু বলেন, রংপুর পরিবহণ মালিক সমিতির ডাকে এ ধর্মঘট চলছে। তবে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়, মহাসড়কে নসিমন, করিমন ও থ্রি-হুইলারসহ অবৈধ যান চলাচলের প্রতিবাদে ধর্মঘট। এই সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো মানা না হলে প্রয়োজনে আরও সময় বাড়তে পারে।
তিনি দাবি করেন, তাদের ডাকা ধর্মঘটের সঙ্গে বিএনপির গণসমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই।
এদিকে আওয়ামী লীগ সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মো. মোখছেদুল মোমিন জানান, বিভিন্ন দাবি নিয়ে পরিবহণ মালিকেরা ধর্মঘট ডেকেছেন। এটা পরিবহণ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের ব্যাপার, আওয়ামী লীগের নয়। বিএনপির নেতারা প্রতিটি সমাবেশে মনগড়া বক্তব্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করছে। আওয়ামী লীগ দেশের রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।
#যুগান্তর