শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজলায় কাপাসিয়া শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় কতৃপক্ষ জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে ৬১ হাজার টাকা দিতে পারছে না বলে, মাঠ থেকে সড়ছে না বিদ্যুতের খুঁটি। ফলে বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকির মধ্য দিয়ে নিয়ে খেলাধুলা ও এসেম্বিলি করছে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালে উপজেলার যোগানিয়া ইউনিয়নে ৬০ শতাংশ জমির উপর কাপাসিয়া শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধিনে ২০১৬ সালে ৫৫ লাখ টাকা ব্যায়ে দ্বিতীয় তলা তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়া বিদ্যালয়ের জন্য বন্যায় আশ্রয়ন কেন্দ্র হিসেবে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রানালয়ের অধিনে ৮৬ লাখ টাকা ব্যায়ে চার কক্ষ ও একটি সভাক্ষসহ দ্বিতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মান করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে ষষ্ট থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৪০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। কিন্ত ২০০৩ সালে বিদ্যালয় মাঠে পল্লী বিদ্যুতের একটি খুঁটি স্থাপন করা। এই খুঁটি থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের এসেম্বলি ও খেলাধুলা করতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীরা আহত হয়। বিষয়টি জানিয়ে ২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর মাসে খুঁটি সড়াতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আনিসুর রহমান শেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছে লিখিত আবেদন করেন।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করতে এক হাজার ৫০০ টাকা প্রদান করতে হয়। ২৯ দিন পর ২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারী শেরপুর পল্লী বিদ্যুতের এজিএম (সদস্য সেবা) স্বাক্ষরিত বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ফিরতি একটি লিখিত পাঠানো হয়। সেখানে খুঁটি স্থানান্তরের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ৬০ হাজার ৯৯৫ টাকা প্রদান করতে বলা হয়েছে। এই খুঁটির মাধ্যমে বর্তমানে চার জন গ্রাহককে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের তহবিলে টাকা না থাকায় শিক্ষকরা পল্লী বিদ্যুত কর্তপক্ষকে দিতে পারছেন ওই টাকা। ফলে খুঁটি রেখেই বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয় খেলাধুলা করছে।এতে প্রতি নিয়ত শিক্ষার্থীরা দুঘর্টনার শিকার হচ্ছে।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোসলেমা আক্তার বলে, মাঠের মধ্যে বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় ছাত্র-ছাত্রীকে সব সময় সর্তক নিয়ে চলা ফেরা করতে হয়। খুঁটির কারণে ঠিকমত খেলতে পারি না। খুঁটিটা সড়ানো হলে আমাদেও ভালো হয়।
প্রধান শিক্ষক মো.আনিসুর রহমান বলেন, বিদ্যালয় মাঠে খুঁটির থাকায় ঝুকি নিয়ে ছেলে মেয়েরা খেলাধুলা করে। বল লেগে যে কোন সময় বিদ্যুতের তার ছিড়ে শিক্ষার্থীদের উপরে পড়ে বড় ধরনে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিজস্ব প্যাডে এক হাজার ৫০০টাকা জমা দিয়ে আবেদন করা হয়েছিলো। তারা খুঁটি স্থানান্তওে জন্য ৬১ হাজার জমা দিতে বলেছেন। এত টাকা বিদ্যালয়ের পক্ষে থেকে প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ঝুকি নিয়ে চলতে হচ্ছে। খুঁটিটা বিদ্যালয়ের পেছনে স্থাপন করলে সুবিধা হয়।
শেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো.মাসরুল হক বলেন, তখন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খুঁটিটি স্থাপন করেছিলেন। বিষয়টি আমি জেনেছি কিন্ত এখন খুঁিট স্থানান্তরের জন্য পল্লী বিদ্যুতের নিয়ম মেনেই কাজ করতে হবে।