শেরপুর থেকে সংগৃহিত করোনা সন্দেহে ১৪৭ টি নমুনা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পরিক্ষার জন্য পেন্ডিং থাকলেও গত ৫দিনেও হয়নি কোন পরিক্ষা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আনোয়ারুর রউফ। এদিকে নমুনা গুলোর পরিক্ষা না হওয়ায় নমুনা সংগৃহিত ব্যাক্তিদের দ্বারা করোনা ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করছে শেরপুরবাসী।
চলতি মাসের ৫ তারিখ শেরপুরে প্রথম করোনা পজিটিভ পাওয়ার পর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ সম্মিলিতভাবে করোনা প্রতিরোধে সর্বচ্চো শ্রম দিয়ে কাজ করে গেলেও ইতিমধ্যে চিকিৎসক,পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগের স্টাফ,সাধারণ নাগরিকসহ আক্রান্ত হয়ে পড়েছে ২৪ জন । এর মধ্যে পাচঁজন সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে গেলেও বাকী আক্রান্তদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন এবং যাদের করোনা উপসর্গ আছে এমন ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং তা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পরিক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তুু অদৃশ্য কারনে ২০ এপ্রিলের পরে পরিক্ষা করা হয়নি শেরপুর থেকে পাঠানো নমুনা গুলো। এতে করে আইসোলোশনে থাকা ব্যাক্তিদের পরিক্ষার রিপোর্ট না আসাতে তাদের ব্যাপারে নেয়া যাচ্ছেনা কোন সিদ্ধান্ত । সংগ্রহ করা যাচ্ছেনা নতুন করে অন্যদের নমুনা।
কেন নমুনা পরিক্ষা করা হচ্ছেনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আনোয়ারুর রউফ শেরপুর টাইমসকে জানান, আমি অনেক চেষ্টা করছি শেরপুরের নমুনা গুলো পরিক্ষা করাতে কিন্তু ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে তা পরিক্ষা হচ্ছেনা। আমি ইতিমধ্যে বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রানালয়ে জানিয়েছি । তারা কথা বললে ময়মনসিংহ ল্যাব থেকে জানানো হয়েছে অনেক নমুনা পেন্ডিং হয়ে পড়ায় তারা শুধুমাত্র ময়মনসিংহ সদরের এবং জামালপুরের কিছূ নমুনা পরিক্ষা করছেন তাই শেরপুরের নমুনা পরিক্ষা করা সম্ভব হচ্ছেনা।
এব্যাপারে জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব শেরপুর টাইমসকে বলেন, আমরা বিষয়টি অতি গুরুত্বের সাথে দেখছি । ইতিমধ্যে উর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আর্কষন করেছি । যোগাযোগ করা হচ্ছে অচিরেই এ বিষয়টির সমাধান হবে।