দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিং নেমে বিপদে বাংলাদেশ দল। ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারায় টাইগাররা।
মোহাম্মদ নাঈম, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেনের দেখানো পথেই সাজঘরে ওপেনার লিটন দাস। তার বিদায়ে ১১.৩ ওভারে ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের ৩০তম ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনীতে ২২ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ নাঈম ও লিটন দস। এরপর মাত্র ৫ বলের ব্যবধানে ২ রানে ৩ উইকেট হারায় টাইগাররা।
৪ ওভারে ২২ রানে ফেরেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকার। প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওপেনার নাঈম। তার আগে ১১ বলে ৯ রান করার সুযোগ পান তিনি।
নাঈম আউট হওয়ার পর তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি সৌম্য সরকার। রাবাদার পরের বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন এ তারকা ব্যাটসম্যান। পরপর দুই বলে ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ।
চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সেই কাগিসো রাবাদার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। ৩ বল খেলেও রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক।
৫.৩ ওভারে ২৪ রানে নাঈম, সৌম্য ও মুশফিকের উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ দল। ৩ ওভারে ১৪ রান খরচ করে বাংলাদেশ দলের টপঅর্ডার তিন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান কাগিসো রাবাদা।
অষ্টম ওভারের শেষ বলে আনরিচ নর্টজের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ৯ বলে ৩ রান করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
অধিনায়ক রিয়াদ আউট হওয়ার পরের বলেই আউট হন তরুণ ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন। ১১.৩ ওভারে দলীয় ৪৫ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন ওপেনার লিটন দাস। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় টাইগাররা।
বাংলাদেশ: মোহাম্মদ নাঈম শেখ, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, শামিম হোসেন, মেহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ।
দক্ষিণ আফ্রিকা: কুইন্টন ডি কক, রেজা হেন্ডরিকস, টেম্বা বাভুমা, রিশি ভেন ডার ডুসেন, এইডেন মার্কওরাম , ডেভিড মিলার, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস, কাগিসো রাবাদা, কেশভ মহারাজ, এনরিচ নর্টজে ও তাবরিজ শামসি।