একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর অংশ হিসেবে আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে নির্বাচনের জন্য খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়ে মাঠ প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
ইসি সচিবালয়ের সহকারী সচিব রওশন আরা বেগমের সই করা এই চিঠি আজ বৃহস্পতিবার জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে প্রস্তাবিত কেন্দ্র সম্পর্কে কারও কোনো অভিযোগ-আপত্তি বা দাবি থাকলে তা ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার ২৫ দিন আগে ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
কমিশন সচিবালয়ের যুগ্মসচিব (চলতি দায়িত্ব) আবুল কাশেম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা হবে ৪০ হাজার। এর মধ্যে সমতলে ৩৯ হাজার ৩৮৭টি এবং পার্বত্য এলাকায় ৬১৩ টি।
ভোটকেন্দ্রের নীতিমালায় বলা হয়েছে, গড়ে ২ হাজার ৫০০ ভোটারের জন্য একটি করে ভোটকেন্দ্র এবং গড়ে ৬০০ পুরুষ ভোটারের জন্য ও ৫০০ নারী ভোটারের জন্য একটি করে ভোট কক্ষ নির্ধারণ করতে হবে। বর্তমানে দেশে ভোটার ১০ কোটি ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৩৮১ জন। এই হিসেবে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত একতরফা নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৯ কোটি ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ১৬৭ জন। এসব ভোটারের জন্য ৩৭ হাজার ৭০৭টি ভোটকেন্দ্র ও এক লাখ ৮৯ হাজার ৭৮টি ভোট কক্ষ ছিল।
সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ২৮ জানুয়ারি। নির্বাচন করতে হবে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে। এই হিসেবে আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচন করতে হবে। সে অনুযায়ী ইসি প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনের ভোটার তালিকার সিডি তৈরি করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্বাচনের জন্য চলতি বাজেটে ১ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: প্রথম আলো।
(শে/টা/বা/শা)