লেখালেখির সখ ছিলো ছোট থেকেই। এখনো আছে। আশা করছি আগামী দিনেও থাকবে। তবে অন্যদের চেয়ে একটু আলাদা। গত ৩ বছর আগে থেকে শুরু হয়েছিল শিশুদের শিক্ষা বিনোদন সচেতনতা ও অধিকার নিয়ে। লেখালেখির শুরু ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ দিয়ে। তারপর উপজেলা ভিত্তিক অনলাইন ও পরে জেলা ভিত্তিক অনলাইন। সবশেষে বিভাগীয় ভিত্তিক কাগজপত্রে। আর এখন জাতীয় কাগজপত্র এবং টিভি চ্যানেলে। বলছি ১৭বছর বয়সী শিশু সাংবাদিক মোশারফ হোসাইনের কথা। শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে মোশারফ।
সম্প্রতি মোশারফ হোসাইন শেরপুর টাইমসকে বলেন, ছোট থেকেই লেখার প্রতি প্রচন্ড আগ্রহ ছিলো। নিজ উপজেলা থেকেই চেষ্টা ছিলো কোন গণমাধ্যমে সংযুক্ত হবার। স্থানীয় পত্রিকায় শিশুদের নিয়ে বেশকিছু লেখা প্রকাশিত হবার পর আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। মফস্বল থেকেই বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে লিখা শুরু করেন।
তিনি আরো বলেন, এখনো শিশুদের জন্যই লেখি। আর লেখালিখি দিয়েই শুধু শিশুদের কথা তুলে আনতে চাই না; চাই টিভিতে দেশপ্রেমী সুস্থ বিনোদন দিতে শিশু-কিশোরদের। তাইতো মাসিক একটা অনুষ্ঠানের জন্য যেতে হয়েছিল সচিবালয় এর সচিব আর মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পর্যন্ত। মোশারফ বর্তমানে ঢাকার কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসায় দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।
শিশু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে স্থানীয় পত্রিকায় মোশারফের কিছু লিখা ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায়। তার মধ্যে- “ঝিনাইগাতীর ৩৬ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক, ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম”, “ঝিনাইগাতীতে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুরা” ও “অবহেলিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ”।
সম্প্রতি তিনি দেশের জাতীয় দৈনিক “ভোরের পাতা” পত্রিকায় শিশু কিশোর ও তরুণদের নিয়ে নিয়মিত লিখছেন।
গত ৩বছরের এই পথচলায় ছিলো নানা বাঁধা বিপত্তিও। তিনি বলেন, ছোট বয়সে ছোটদের নিয়ে লিখতে গিয়ে নানা বঞ্চনার স্বীকার হয়েছি। তবুও পথ হারাইনি। জাতীয় শিশু কিশোর পত্রিকা হাতেখড়িতে শেরপুর জেলা থেকে নিয়মিত লিখছি।
তিনি আরো বলেন, শত টুকরো জীবনে; এক টুকরো সাফল্যমণ্ডিত জীবনে ভালবাসার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী পেয়েছি। কৃতজ্ঞ তাদের কাছে। আগামী অমর একুশে বই মেলায় “এক টুকরো সাফল্য সরূপ” শিশু কিশোরদের নিয়ে আমার একটি বই থাকবে আশা করছি।