চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। বিগত বছরে ব্যাংকগুলোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন ডেপুটি গর্ভনর এসএম মনিরুজ্জামান। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত বাংকগুলোর স্বনির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক সমুহের নীট ঋণ ও অগ্রীমের ২শতাংশ হারে হিসাবায়ন করে এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশ বিতরণ করতে হবে শস্যখাতে, নুন্যতম ১০ শতাংশ মৎস্য খাতে এবং প্রাণি সম্পদ খাতে ১০ শতাংশ বিতরণ করতে হবে। এছাড়াও কষি যন্ত্রপাতি, দারিদ্র বিমোচন ও অন্যান্য খাতে বাকি অর্থ বিতরণ করতে হবে।
ব্যাংকগুলোর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বাইরে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড ৯৬১ কোটি টাকা কষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করবে। ব্র্যাক বিতরণ করবে ৬০০ কোটি টাকা।
লক্ষ্যমাত্রার ৫২শতাংশ বিতরণ করবে বেসরকারিখাতের ব্যাংক, সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক বিতরণ করবে ৩০শতাংশ, বিশেষায়িত ব্যাংক বিতরণ করবে ১৫শতাংশ ও বিদেশি ব্যাংক বিতরণ করবে ৩শতাংশ ঋণ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহ পরিচালক অশোক কুমার দে ও কৃষি ঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মনোজ কান্তি বৈরাগী বক্তব্য দেন।
সূত্র: ইত্তেফাক
শে/টা/বা/জ