মনে হচ্ছিল তিনি হারিয়ে গেছেন। তার ব্যাটের ধার কমে গেছে। এমনকি বয়সের ভারে খানিক ন্যুব্জ হয়ে গেছেন। শরীরের চপলতা, ক্ষিপ্রতা কমে গেছে। তাই আগের মত ব্যাট আর কথা বলে না।
মাঝে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কিছু খারাপ সময়ও গেছে। আর তাই টি-টোয়েন্টি দলের বাইরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে মুশফিকুর রহিমকে। বিশ্বকাপ খেলতে পারেননি, তাই অভিমানে টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলে দেন।
হতোদ্যম না হয়ে এ পরিশ্রমী ক্রিকেটার টেস্ট আর ওয়ানডে খেলায় মনোযোগী হন। এখনও প্রতিনিয়ত অনুশীলনে সবচেয়ে বেশি সময় কাটান। বেশি ঘাম ঝরান। শেরে বাংলার সেন্টার উইকেট, একাডেমি মাঠের প্র্যাকটিস পিচ আর ইনডোরের সিনথেটিক টার্ফ ও ন্যাচারাল টার্ফেই অনুশীলনে মগ্ন দেখা যায় মুশফিককে। তারই ফলশ্রুতিতে আগের ম্যাচে উপহার দিয়েছেন ঝোড়ো গতির ৪৪ (২৬ বলে)।
আর আজ সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়া। এবার পেয়ে গেলেন সেঞ্চুরি, ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম শতক। এই সেঞ্চুরি আবার যেনতেনভাবে আসেনি, রীতিমত উল্কার বেগে ৬০ বলে।
ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে হিসেব করলে এই ফরম্যাটে দীর্ঘ ২২ মাস পর আবার শতক আসলো মুশফিকের ব্যাট থেকে। মিস্টার ডিপেন্ডেবল শেষ ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০২১ সালের ২৫ মে।
মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১২৭ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ১২৫ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন মুশফিক। সেট ছিল তার ক্যারিয়ারের আট নম্বর ওয়ানডে শতক। ১৭ ম্যাচ পর আরেকটি সেঞ্চুরি দেখা দিলো তার ব্যাটে, দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটলো রাজকীয়ভাবে।