বলিউড অভিনেত্রি জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ ও নোরা ফতেহির ডাক পড়ল এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) থেকে।
বৃহস্পতিবার (১৪অক্টোবর) বেলা ১টার পর নোরা ফাতেহি ইডির দপ্তরে হাজির হয়েছেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ইডি তলব করার পরেও হাজিরা এড়িয়েছিলেন জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ।
র্যানব্যাক্সি সংস্থার সাবেক মালিক শিবেন্দ্র সিং এবং মালবেন্দ্র সিং এর পরিবারের সুকেশ চন্দ্রশেখর এবং লিনা পালের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। এরা দু’জনেই আপাতত বন্দি রয়েছেন দিল্লির রোহিনী জেলে। এই দুই অভিযুক্তের সঙ্গে সরাসরি জ্যাকলিন এবং নোরার যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ ইডির।
আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ইডির অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে জ্যাকলিনকে। ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের কাছে নাকি বিদেশে টাকা পাঠাতেন জ্যাকলিন। এর আগে সুকেশ এবং তার স্ত্রীর বাড়ি তল্লাশি করা হয়েছে। ষড়যন্ত্র, প্রতারণা এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে সুকেশের বিরুদ্ধে। চেন্নাইয়ের বাংলোতে তল্লাশি চালিয়ে ৮২ লাখ টাকা, দুই কেজি সোনা, ১৬টি দামি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেন ইডির কর্তারা।
অর্থ পাচার মামলায় বয়ান রেকর্ডে জ্যাকলিনের ও নোরার পর আরও কয়েকজন বলিউড তারকা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে সন্দেহ ইডির।
চন্দ্রশেখর ও জ্যাকলিনের মধ্যে টাকা-পয়সা নিয়ে কোনো আদানপ্রদান হয়েছে কি না খতিয়ে দেখতে চায় ইডি। আরও এক বলিউড অভিনেতাকে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। অভিযোগ, এক বছরের মধ্যে এক ব্যবসায়ীর থেকে ২০০ কোটি টাকা অবৈধভাবে নিয়েছিলেন চন্দ্রশেখর। দিল্লির রোহিনী জেলে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, এ ধরনের আরও ২০টি মামলা আছে তার বিরুদ্ধে। জেলের ভেতরে বসে টাকা নয়ছয় করার কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন চন্দ্রশেখর।
তদন্তে উঠে আসে, সুকেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কায় থাকাকালীন জ্যাকলিনের যোগাযোগ তৈরি হয়। জেলে থাকাকালীন সময়েও জ্যাকলিনের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন সুকেশ।