ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ বছরেরও বেশি সময় বন্ধের পর ফের চালু হলো সিজারিয়ানসহ অন্যান্য অপারেশন কার্যক্রম। চলতি বছরে ১৭টা অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যমতে, ১৯৬৩ সালে হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি যাত্রা শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
২০১১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫১ শয্যায় উন্নীতকরণ হয়। এ সময় অপারেশন থিয়েটার চালু করা হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য যেতে হতো বেসরকারি হাসপাতালে।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে অপারেশন কার্যক্রম চালুর পর থেকে ১২টি সিজারিয়ান, অ্যাপেন্ডিসাইটিস, হার্নিয়াসহ মোট ১৭টি অপারেশন করা হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর হাসপাতালে অপারেশন কার্যক্রম চালু হওয়ায় স্থানীয়রা উপকৃত হবে। এখানে সিজারিয়ান অপারেশনের পাশাপাশি প্রসূতি মায়েদের প্রসব-পূর্ব, প্রসবকালীন ও প্রসব-পরবর্তী সেবা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটার পুনরায় চালু হওয়ায় খুশি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সেবা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনরা।
তাদের মধ্যে একজন পার্শ্ববর্তী ধোবাউড়া উপজেলার শালকোনা গ্রামের জরিনা বেগম। তিনি হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে নবজাতক জন্ম দেন। জরিনা বলেন, ‘কিছুদিন আগে জানতে পারি হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন করা হচ্ছে। পরে ডাক্তারদের পরামর্শে ভর্তি হই। নবজাতক নিয়ে সুস্থ আছি।
’
চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান অপারেশন কার্যক্রম চালু থাকায় অনেক রোগী এখান থেকে সেবা নিতে পারবে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রাণেশ চন্দ্র পণ্ডিত জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ২৪ ঘণ্টা ইসিজি সেবা চালু আছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে যুক্ত করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। হাসপাতালের বহির্বিভাগের পাশাপাশি অপারেশন কার্যক্রম চলমান থাকবে।