হালুয়াঘাটে নামাজ পড়া অবস্থায় মসজিদের ভিতরে এক শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়াগেছে। উপজেলার কাওয়ালীজান নামক গ্রামে গত রবিবার এশার নামাজের সময় ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী মুসল্লি আব্দুস সামাদ ফরাজী,জিহাদুল ইসলাম,মাদ্রাসা শিক্ষক জুয়েল মিয়া,আসাদুজ্জামানসহ অনেকেই জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাওয়ালীজান গ্রামের লুৎফর রহমানের পুত্র মোজাম্মেল হোসেন(৮) কাওয়ালীজান উম্মুল কুরান নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার নুরানীবিভাগের ১ম শ্রেণীর ছাত্র। এশার নামাজের সময় শিশুটি মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য দাঁড়ালে কালিয়ানীকান্দা গ্রামের পচাঁ মুন্সীর পুত্র সিরাজুল ইসলাম সিরু (৬০) শিশুটিকে অন্য স্থানে নামাজ পড়তে বলেন।
কিন্তু শিশুটি সে কথা না শুনে নামাজের নিয়ত করে ফেলেন। অতঃপর সিরু স্থান পরিবর্তন না করায় শিশুটিকে নামাজে থাকা অবস্থাতেই গাড়ে ও মাথায় চড় দিয়ে মসজিদের মেঝেতে ফেলে দেয়। এ অবস্থাই মসজিদের ভিতর শিশুটি অচেতন হয়ে পড়ে। অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে উপস্থিত থাকা মুসল্লিরা তাৎক্ষণিকভাবে মাথায় পানি দিয়ে চিকিৎসার জন্য হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় মামলা করবেন বলে জানান নির্যাতিতার পরিবার।
এ বিষয়ে সিরাজুল হকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জয়ন্ত সাহা বলেন, শিশুটির গাড় ও মাথায় আগাত প্রাপ্ত হওয়াই এক্সে করতে বলেছেন।
কিছু জটিলতা রয়েছে বিদায় ভর্তি করা হয়েছ। কাওয়ালীজান উম্মুল কুরান নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, নামাজ পড়া অবস্থায় শিশুটিকে নির্যাতনের বিষয়টি নিন্দনীয়।
ঘটনাটির জড়িত ব্যক্তির তদন্ত পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করেন তিনি। এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, এ ঘটনায় তিনি কোন অভিযোগ পান নি । অভিযোগ পেলে আইনগত প্রদক্ষেপ গ্রহন করবেন।