ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে গারো সম্প্রদায়ের দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাব। শুক্রবার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত ৫ আসামিকে গ্রেফতার করে। আর র্যাব-১৪ অভিযান চালিয়ে ঢাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি রিয়াদকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মামলার প্রধান আসামি রিয়াদ (২২), হালুয়াঘাট উপজেলার কাতলমারি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে শরীফ মিয়া (২০), কাটাবাড়ি গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে মিজানুর রহমান (২২), একই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আব্দুল হামিদ (১৯), কচুয়াকুড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মিয়া হোসেন (২০) ও একই গ্রামের মফিজুল মিয়ার ছেলে রুকন মিয়া (২১)। এদের মধ্যে আব্দুল হামিদ মামলার আসামি না হলেও ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর ছিল। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হয়েছে। এর ধারাবহিকতায় এজাহারনামীয় ৫ আসামিকে শুক্রবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
জেলা পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান জানান, গত রাতে ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে দুই গারো তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের দুটি চৌকস টিম নানা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের গ্রেফতার করে। অচিরেই বাকি আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।
এর আগে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর রাতে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার গাজীর ভিটা গ্রামে প্রতিবেশির বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে কাটাবাড়ি গ্রামের আকাশী বাগানে দুই গারো তরুণী ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় ৩০ ডিসেম্বর হালুয়াঘাট থানায় ১০ জনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরীর পিতা।
এ ঘটনায় আসামিদের গ্রেফতার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা হালুয়াঘাটের গারো সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠন। সেসময় আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার না করা হলে সারা দেশে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেয় গারো সম্প্রদায়।
#যুগান্তর