শেরপুরে থেকে দুই মাস আগে হারিয়ে যাওয়া রাকিব (১১) নামে এক শিশুকে তাঁর বাবা-মা ও নানা-নানীর হাতে তুলে দিল আপন ফাউন্ডেশন। সে সদর উপজেলার চরশেরপুর উত্তর পাড়ার আব্দুল খালেকের ছেলে। ১৪ আগষ্ট সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের বাসভবনে এক অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন ওই শিশুটিকে তাঁর মায়ের হাতে হস্তান্তর করেন। এ সময় শেরপুরের সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন সরকার,মানবাধিকার নেতা অ্যাডভোকেট শক্তিপদ পাল, শামীম আহমেদ, বিতার্কিক ও সংস্কৃতি কর্মী এমদাদুল হক রিপন এবং আপন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আপন ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার অনিক ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষনা দেন, কোন শিশুই রাস্তায় থাকবেনা। সেই ঘোষনা বাস্তবায়ন করার জন্য পথশিশু মুক্ত দেশ গড়ার লক্ষে কাজ শুরু করে। শাহজালাল বিমান বন্দরের পাশে আসকোনাতে একটি কার্যালয় খোলা হয়। সেখান থেকে বিমান বন্দরের আশ-পাশ ও বিভিন্ন স্থান থেকে পথ শিশুদের উদ্ধার করার কাজ চলছে।
তিনি আরো বলেন, বিগত দুই মাস আগে বিমান বন্দর এলাকা থেকে রাকিবকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর সে জানায় ভাইয়ের সাথে ঝগড়া করে সে বাড়ী ছেড়ে চলে এসেছে। পরে তাঁকে কাওলা দক্ষিণখান ঠিকানা শেল্টার হোমে আনা হয়। সেখানে বিশেষজ্ঞরা তাঁকে দুই মাস প্রশিক্ষণ দেন। এসময় বাড়ীতে আসার ইচ্ছে পোষন করলে আজ তাঁকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
রাকিবের জেঠা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাওলানা মোজাম্মেল হক শেরপুর টাইমসকে বলেন, তার ছোট ভাই দরিদ্র রিক্সাচালক আব্দুল খালেক পরিবার নিয়ে ঢাকার খিলগাঁয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। তার ভাতিজা ও খালেকের বড় ছেলে রাকিব ১মাস ২৮ দিন আগে ছোট ভাইয়ের সাথে মনোমালিন্য করে ও মায়ের সাথে অভিমান করে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরে বিমান বন্দর এলাকা থেকে রাকিবকে উদ্ধার করে আজ আপন ফাউন্ডেশন তার মায়ের হাতে তুলে দিলো।
শেরপুর টাইমস/ বা.স