ওএসডি হওয়া জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমদ কবীরের সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়া অফিস সহকারী সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা দাবি করেছেন, এ ঘটনায় ডিসির কোনো দোষ নেই। আজ সোমবার সকালে গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন ওই নারী।
গণমাধ্যমকে সাধনা বলেন, ‘স্যারের কোনো দোষ নেই, তিনি নির্দোষ। কারণ, স্যার আমার কোনো ক্ষতি করে নাই। আমার বাঁচার ইচ্ছে নেই, শুধুমাত্র আমার সন্তানের দিকে তাকিয়ে বেঁচে আছি। এভাবে ধিক্কার না দিয়ে, আমাকে বাঁচার মতো ব্যবস্থা করে দিন।’
ওই নারী আরও বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না, এগুলো কে করছে আপনারা তদন্ত করে বের করুন। আমি এর বিচার চাই।’
এর আগে সোমবার সকালে জামালপুর জেলা প্রশাসকের কর্মস্থলে আসার পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন সমালোচিত ওই নারী। সে সময় তার হাতে শারীরিক অসুস্থতার কারণে একটি ছুটির আবেদন পত্র দেখা যায়।
আবেদনে অফিস চলাকালীন অসুস্থ বোধ করায় আগামীকাল ২৭ আগস্ট থেকে তিন দিনের ছুটির কথা উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসকের গোপনীয় শাখার অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত সাধনা। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই কেউ কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই দ্রুত জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ত্যাগ করেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার থেকে জামালপুরের ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে ওই নারী সহকর্মীর আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে জামালপুরসহ সারা দেশে নিন্দার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় গতকাল জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরকে ওএসডি করা হলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই নারীর বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন জামালপুরের মানুষ।
এ ঘটনায় মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি তদন্ত সাপেক্ষে ওই অফিস সহকারীর বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।