স্মার্ট বাংলাদেশ স্লোগানের অন্তরালে চলছে স্মার্ট দুর্নীতি, লুটপাট, চাঁদাবাজি, দালালি আর ভয়ের রাজত্ব বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকার কাফরুলের ভিশন ফ্যাক্টরির মোড়ে সিপিবি ঢাকা মহানগর উত্তরের অনুষ্ঠিত সভা থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ স্লোগানের অন্তরালে দেশে চলছে ‘স্মার্ট দুর্নীতি’, লুটপাট, চাঁদাবাজি, দালালি আর ভয়ের রাজত্ব। এ জুলুমশাহি ধারাকে অব্যাহত রাখতে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করা হচ্ছে যেখানে ভিন্ন কোনো রাজনৈতিক মত ও পথকে সহ্য করা হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে লোভ আর ভয়কে উপেক্ষা করে সর্বত্র অন্যায় অবিচার রুখে দাঁড়াতে হবে। এজন্য বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে নিজেদের সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে বাঁচার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ লড়াই গড়ে তুলতে হবে। দুর্নীতি, লুটপাটকারী আর তাদের পাহারাদারের দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রহসনের এ ডামি নির্বাচন অবিলম্বে বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংসদে যাওয়া অধিকাংশ রাজনীতিক বিনাপুঁজির লাভজনক ব্যবসায়ী কারণ তারা বিনাভোটে নির্বাচিত। আর বর্তমান সংসদতো পুরোই ব্যবসায়ীদের দখলে। এবারের একদলীয় নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামায় এটা পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে। সাজানো ভোটের এ একদলীয় সংসদ চলতে থাকলে আরও আইন প্রণীত হবে লুটেরা ব্যবসায়ী আর কর্তৃত্ববাদী শাসনের স্বার্থে। সাধারণ মানুষের স্বার্থ হবে উপেক্ষিত।
সিপিবি ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি কমরেড ডা. সাজেদুল হক রুবেলের সভাপতিত্বে এবং সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বলের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজ্জাদ জহির চন্দন ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক কমরেড লূনা নূর।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. সাজেদুল হক রুবেল বলেন, নগরের মানুষ ভয়াবহ সংকটে নিমজ্জিত। একদিকে দ্রব্যমূল্য ও অন্যদিকে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, বাড়িভাড়াসহ নানা নাগরিক ব্যয় আকাশচুম্বি। ছোট এ ঢাকা শহর পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত নগরের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় স্থান দখল করে আছে। আমাদের এ নগরে প্রায় ৫০ লাখ নিন্ম আয়ের শ্রমজীবী মানুষ বসবাস করে কিন্তু তাদের জন্য সরকারের কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি বিগত দিনে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত সমাবেশে বিভিন্ন থানা ও শাখার পক্ষ থেকে সিপিবি নেতাকর্মীরা ব্যানার ও লাল পতাকা হাতে নিয়ে সমাবেশে এসে যোগ দেন।
সমাবেশ শেষে একটি লাল পতাকার বিশাল মিছিল কাফরুল থেকে মিরপুর ১০ নম্বর হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
# বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম