স্মার্ট ফোনে আসক্তির কারণে মেধা শুন্য হচ্ছে ছাত্র সমাজ। ছাত্ররা পড়ার টেবিলে পড়তে না বসে স্মার্ট ফোন ব্যবহারে মগ্ন। এতেকরে মাদকাসক্তির চেয়েও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে মোবাইল ফোনে আসক্তি।
মোবাইল ফোনে আসক্তির কারণে শিক্ষার্থীরা পড়া লেখা অনেকটাই ছেড়ে দিয়েছে। রাস্তা-ঘাটে ও মাঠে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘবদ্ধ হয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে।
করোনাকালীন সময়ে অনলাইন পাঠকে কেন্দ্র করে মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পরেছে শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে পড়াশুনা না করে গেমস খেলে সময় অপচয় করছে। এছাড়া, ইন্টারনেটে বিভিন্ন পর্ণ সাইট দেখে তারা বিপথগামী ও মেধা শুন্য হচ্ছে। এ অবস্থায় তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে। সন্তানদের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে অভিভাবকগণ সংকিত হয়ে পড়ছে।
স্মার্টফোন থেকে যে নীল রেডিয়েশন ছড়ায়, তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটি মস্তিষ্ক বিকাশেও মারাক্তক ক্ষতি করছে। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারে পড়াশুনায় অমনোযোগি, মেজাজ খিটখিটে, ক্ষুুধামন্দাসহ বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
স্মার্টফোন ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের মেধাশক্তি কমে যাচ্ছে। এভাবে এর ব্যবহার বাড়তে থাকলে জাতি মেধাশুন্য হবে। তার কোনো যদি কিন্তু নাই। দেখা গেছে এক জন শিক্ষার্থী দিনে সাত থেকে আট ঘন্টা বা তারও বেশি সমশ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে।
এভাবে যদি মোবাইল ফোনের পিছনে সময় দেয়, তাহলে পড়ালেখা করার সময় কোথায়? শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনের আসক্তি থেকে উত্তরণের উপায় খোজে বের করতে হবে। এর উপায় খোজে বের করতে না পারলে এর প্রভাব পড়বে গোটা জাতির উপর।
গবেষকদের মতে স্মার্টফোনের সুবিধা থাকলেও এটি শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার মনোযোগ নষ্ট করে দেয়। এতে এমন ভাবে আসক্ত হয়ে পড়ে, যা মাদকাসক্তির চেয়েও ভয়ঙ্কর। এর ফলে শারিরীক সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া, এটি ব্যবহারে হার্ট এ্যাটাকের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। এটি করতে পারলে এর আসক্তি থেকে শিক্ষার্থীরা মুক্তি পাবে। অভিভাবকদের মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলাসহ বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে আগ্রহী করে তুলতে হবে।
মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার বন্ধ করতে প্রথমে অভিভাবকদের গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালণ করতে হবে। এর জন্য সন্তানদের সময় দিতে হবে এবং তাদের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আগামী প্রজন্মের সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠনের লক্ষ্যে স্মার্টফোনের ব্যবহার কমাতে হবে।