দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয় ওই তরুণীর। কিন্তু চার বছর আগে প্রেমিক সামির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই তরুণীর। বিয়ের পরও স্বামীর অনুপস্থিতিতে মোবাইলে ওই প্রেমিকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন তিনি। এ নিয়ে কয়েক দফায় গ্রাম্য সালিশও হয়। তবুও অটুট ছিল প্রেম। একপর্যায়ে বিয়ের তিন মাসের মাথায় স্বামীকে তালাক দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেন ওই তরুণী। তবে উধাও প্রেমিক। ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদী রায়পুরা পৌর এলাকার হাসিমপুরে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে পৌরসভার হাসিমপুর ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থা নেন তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, তিন মাস আগে উভয় পরিবারের সম্মতিতে একই গ্রামের এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে ওই তরুণীর। কিন্তু স্থানীয় স্কুলে পড়ার সময় চার বছর আগে সামির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই তরুণীর। বিয়ের পরও স্বামীর অনুপস্থিতিতে মোবাইলে ওই সামির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন তিনি। এ নিয়ে কয়েক দফায় গ্রাম্য সালিশও হয়। ওই সালিশে সংসার করবে না বলে স্বামীকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি যান তিনি। এরপর শনিবার বাবার বাড়ি থেকে ওই প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেন। প্রেমিকের পরিবার এ ঘটনার পর ঘরে তালা দিয়ে অন্যত্র চলে যায়। এমনকি উধাও সেই প্রেমিকও।
প্রেমিককে না পেয়ে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেন রান্নাঘরে।এ নিয়ে সকাল থেকে দিনব্যাপী এলাকায় জনসাধারণের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ সময় প্রেমিক সামির বাড়িতে ভিড় করে এলাকাবাসী।
ওই তরুণী বলেন, সামির সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। তাকে আমার সামনে হাজির করেন। বিয়ের পরও প্রতিনিয়ত তার সঙ্গে কথা হতো আমার। তাকে বিয়ে করবে বলে স্বামীর ঘর ছেড়ে এসেছি। তাকে না পেলে মরে যাব, তাকেই চাই।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে প্রেমিক ও তার পরিবারের সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে সামি ও স্বজনদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রায়পুরা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার নাহিদ মিয়া বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে আমি শুনেছি। আমি এই বিষয় নিয়ে উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়াা হবে।
#ডেইলি বাংলাদেশ