৫১ স্কুল থেকে সেরা ৮। তারপর ওই ৮টি থেকে দেশসেরা স্কুল পাওয়ার অপেক্ষা। বুধবার সন্ধ্যার আগেই পাওয়া যাবে জাতীয় স্কুল ফুটবলের সেরা দলের নাম। হয় যশোরের বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, না হয় নীলফামারীর ছমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। পল্টনের আউটার স্টেডিয়ামে বিকেল সাড়ে ৩টায় ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের জাতীয় স্কুল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ।
একটা টুর্নামেন্ট এলো, শেষও হলো। বাফুফে এখানেই থেমে থাকতে চাচ্ছে না। টুর্নামেন্ট শেষ হলেও সুফলটা ধরে রাখতে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি। টুর্নামেন্টে যে প্রতিভাবান খেলোয়াড় পাওয়া যাবে, তাদের হারিয়ে যেতে দেবে না বাফুফে।
দেশের ৮ ভেন্যুতে প্রথম পর্ব শুরু হওয়ার পরই বাফুফে প্রতিভা অন্বেষণের জন্য কোচ নিয়োগ দিয়েছিল, যা চলেছে চূড়ান্ত পর্বেও। দায়িত্বপ্রাপ্ত কোচ ইতিমধ্যে ৭০ থেকে ৮০ জন খেলোয়াড়ের নাম নোট করেছেন।
বাফুফের জাতীয় স্কুল ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান বিজন বড়ুয়া জানালেন, ‘কোচদের বলা হয়েছে, যেন ৭০-৮০ জন প্রতিভাবান ফুটবলার বাছাই করা হয়। ফাইনালের পরই আমরা নামগুলো পেয়ে যাব। এই ফুটবলারদের আমরা দেবো বাফুফের ডেভেলপমেন্ট কমিটির কাছে। তারপর তাদের যা করার করবে।’
ফাইনাল উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিজন বড়ুয়া সবাইকে আহ্বান জানালেন শিরোপা নির্ধরণী ম্যাচটি দেখতে। তার মতে, ফাইনালের দুই দলে বেশ কয়েকজন ভালো ফুটবলার আছে, যাদের খেলা দেখলে আনন্দ পাওয়া যাবে।
ফাইনালে ওঠা নীলফামারীর ছমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ গত চার আসর ধরে খেলছে। আগের তিনবার সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে। এইবার প্রথম তারা ফাইনালে উঠেছে। তাদের চারবারের চারটি দল থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা ঢাকার বিভিন্ন লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছে।
ফাইনালে ওঠা বর্তমান দুই দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলারের সঙ্গে দ্বিতীয় বিভাগ লিগের কয়েকটি ক্লাবের চুক্তিও হয়ে গেছে। এটা স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের সফলতা হিসেবেই দেখছেন কমিটির চেয়ারম্যান।
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, ‘আমরা ফিফার সহায়তা চেয়েছি গ্রাসরুট পর্যায় থেকে ফুটবলারদের ডাটাবেজ তৈরি করার জন্য। আশা করছি, ফিফা থেকে সাড়া পাবো। পেলে আমাদের সব ধরনের টুর্নামেন্ট থেকে যে প্রতিভাবান ফুটবলার বাছাই করা হয়, তাদের একটা ডাটাবেজ তৈরি করবো।’