শেরপুরে অপহরণ ও ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর এক মামলায় শফিকুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবককে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং একইসাথে অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড হয়েছে। তবে শফিকুল ইসলামের উভয় সাজা একইসাথে কার্যকর হবে। একই মামলায় অপহরণের দায়ে ছানা মিয়া (৩২) নামে অপর এক যুবককে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড হয়েছে।
১ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান আসামিদের উপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত শফিকুল ইসলাম ঝিনাইগাতী উপজেলার কালিনগর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে এবং ছানা মিয়া একই উপজেলার হাসলিগাঁও গ্রামের সেকান্দর বাদশার ছেলে।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০১৫ সালের ২০ মে সন্ধ্যায় ঝিনাইগাতী উপজেলার পাইকুড়া হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও স্থানীয় কৃষক পরিবারের মেয়ে (১৫) পার্শ্ববর্তী আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে তাকে অপহরণ করে শফিকুল ও ছানা মিয়া। পরে তাকে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় আটক রেখে ধর্ষণ করে শফিকুল।
ওই ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করলে একই বছরের ২৬ জুলাই তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তদন্ত শেষে ২২ সেপ্টেম্বর ২ জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দাখিল করেন ঝিনাইগাতী থানার এসআই খোকন চন্দ্র সরকার। বিচারিক পর্যায়ে ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।