সোনালী ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষায় অংশ নেয়া চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. আহসানুজ্জামান, মমিনুল ইসলাম ওরফে মমিন (২৯), রিয়াশদ হোসেন সেতু (৩০), রাশিদুল ইসলাম ওরফে তাজুল (৩১) ও শামসুজ্জামান ওরফে পলাশ (২৯)।
ডিবি উত্তর বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টা থেকে ১১টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ, মোহাম্মদপুর থানাধীন লালমাটিয়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এবং তেজগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতরা বিশেষ ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও তারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে হলের বাইরে থেকে প্রশ্নের উত্তর সরবরাহ করত। এ সংক্রান্তে তাদের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।
এর আগে একই অভিযোগে ডিবি (উত্তর) বিভাগ গত ৬ এপ্রিল রাতে রাজধানীর মিরপুর, নিউমার্কেট ও ফার্মগেট এলাকা থেকে সোনালী ব্যাংকের আইটি অফিসার অসিম কুমার দাস, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রবেশনারি অফিসার মো. সোহেল আকন্দ ও পূবালী ব্যাংকের প্রবেশনারি অফিসার মো. মনিরুল ইসলাম ওরফে সুমন, মো. জহিরুল ইসলাম, সাদ্দাতুর রহমান ওরফে সোহান, নাদিমুল ইসলাম, মো. এনামুল হক ওরফে শিশির, শেখ তারিকুজ্জামান, অর্ণব চক্রবর্তী ও আরিফুর রহমান ওরফে শাহিনকে গ্রেফতার করে। ওই সময় থেকে পরীক্ষায় জালিয়াতি ও প্রশ্নফাঁসে জড়িত অভিযোগে পলাতক রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা আবু জাফর ও কথিত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা পুলকেশ।
পরে গত ১৭ এপ্রিল ভর্তি ও বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তর সরবরাহকারীদের মূলহোতা পুলকেশ দাশ ওরফে বাচ্চুসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন- মনিরুল ইসলাম (২৩) ও মো. ফিরোজ আহমেদ (২৬)। তাদের হেফাজত থেকে ৮টি বিশেষ ডিভাইস ও ১১টি ব্লুটুথ ইয়ারপিস উদ্ধার করা হয়। যার মাধ্যমে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্নের উত্তর সরবরাহ করা হতো।