ময়মনসিংহের তারাকান্দায় কথিত এক আধ্যাত্মিক খেতা ফকিরের সঙ্গে ভক্তের স্ত্রী উধাও হওয়ার ১৯ দিন পর পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার আদালতে পাঠিয়েছেন। গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থেকে তাকে উদ্ধার করা হলেও ভণ্ড ফকির এখনো পলাতক রয়েছেন।
জানা যায়, নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার হীরণপুর গ্রামের কথিত ফকির ফজলুল হক (৬০) সব সময় খেতা পরিহিত থাকায় এলাকায় তিনি খেতা শাহ ফকির নামে পরিচিতি পান। দেড় মাস আগে তার সঙ্গে তারাকান্দা উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের টিকুরী গ্রামের যুবক শফিকুল ইসলামের পরিচয় হয়। খেতা শাহকে আধ্যাত্মিক ফকির ভেবে তিনি তার ভক্ত হন।
সংসারের উন্নতি আর মনের বাসনা পূরণের আশায় ভক্ত শফিকুল ইসলাম খেতা শাহকে নিজ বাড়িতে এনে কাছের এক মাজারে আশ্রয় দেন। আর স্ত্রীকে আপ্যায়নের দায়িত্ব দেন। গত ২২ জুন বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বৃদ্ধ খেতা শাহ্ ফকিরকে নিয়ে ৩ সন্তানের জননী শফিকুল ইসলামের স্ত্রী বাড়ি থেকে উধাও হয়। এ ঘটনায় শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে কথিত খেতা শাহ ফকিরের বিরুদ্ধে তারাকান্দা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ গত সোমবার গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই স্ত্রীকে উদ্ধার করে পরদিন জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য ময়মনসিংহ আদালত ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
তারাকান্দা থানার ওসি মো. আবুল খায়ের জানান, ওই নারীকে উদ্ধারের সময় খেতা শাহকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।