শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে গর্ভধারিণী মা’কে মারধরের অভিযোগে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে নাকে খত দিয়ে জুতার মালা পড়িয়ে গ্রামশুদ্ধ ঘুরানো সেই ইন্তাজ আলীকে এবার আপন খালাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত আহত করার অভিযোগে শ্রীঘরে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের গড়কান্দা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার (২১ মে) আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের রানীগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে ইন্তাজ আলী (৪৫) গত ১৪ মে মঙ্গলবার পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আপন খালা একই গ্রামের আন্তাজ আলীর স্ত্রী হাসনা হেনাকে (৫০) পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে আহত হাসনা হেনাকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আহতের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ কৌশলগত কারণে অভিযুক্ত ইন্তাজ আলীকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত মামলা রেকর্ড না করে তাকে খুঁজছিল।
এদিকে আহতের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি- এমন খবরের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যার দিকে ইন্তাজ আলী নালিতাবাড়ী শহরের গড়কান্দায় আসে। এসময় খবর পেয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আইনুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে আটক করে এবং সাথে সাথেই মামলা রেকর্ড করে গ্রেফতার দেখায়। পরে মঙ্গলবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এর আগে গত বছরের ২০ মে ইন্তাজ আলী তার গর্ভধারীনি মা রাহেলা বেগমকে মারধর করলে মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্যসহ গ্রামবাসী মিলে ইন্তাজ আলীকে মায়ের উপর হাত তোলার শাস্তি হিসেবে নাকে খত দেওয়ায় ও জুতার মালা পড়িয়ে গ্রামশুদ্ধ ঘুরায়। অবশ্য এ শাস্তির পর মা রাহেলা বেগম ছেলের প্রতি দয়াশীল হয়ে পরবর্তীতে উল্টো বিচারকদের বিরুদ্ধেই ছেলেকে অপমানের অভিযোগ আনেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ইন্তাজ আলীর বিরুদ্ধে ৩২৬/৩০৭/৩৭৯সহ একাধিক ধারায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।