দীর্ঘদিন ধরে অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী দেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। অভিনয় থেকে দূরে। ভক্তদের সঙ্গেও ছিল না কোনো যোগাযোগ। সে জন্যই গত ১৪ সেপ্টেম্বর তিনি ছোটবোন ঝুমুরের সহায়তায় ইউটিউবে একটি চ্যানেল খুলেছিলেন। ২৪ সেপ্টেম্বর সেই চ্যানেল থেকে সিডনি থেকে লাইভও করেন। ইউটিউবের পাশাপাশি শাবনূরের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামেও অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
কিন্তু গত ২ অক্টোবর দুঃসংবাদ দেন এই নায়িকা। জানান, তার ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম সবই হ্যাকড হয়েছে। ১২ দিন পর বৃহস্পতিবার আবার জানালেন সুসংবাদ। বললেন, অনেক চেষ্টার পর ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট তিনি ফিরে পেয়েছেন। তবে ইউটিউব চ্যানেলটি এখনো উদ্ধার করা যায়নি।
বৃহস্পতিবার শাবনূর তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘প্রিয় বন্ধু ও ফলোয়ারস, আপনাদের আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমার ফেসবুক পেজ এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের পুরো নিয়ন্ত্রণ এখন আমার কাছে। তবে হ্যাকিংয়ের কারণে আমি আমার ইউটিউব চ্যানেলটা ফেরত পাচ্ছি না।’
তিনি আরও লেখেন, ‘যদিও হ্যাকাররা আমার চ্যানেল নষ্ট করেছে কিন্তু তারা তো আমাকে আপনাদের থেকে দূরে রাখতে পারবে না। ইনশাআল্লাহ, শিগগিরই আমি আমার ভক্তদের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য নতুন ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে ফিরে আসব।’
১৯৯৩ সালে এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী রাতে’ ছবিটির মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক হয়েছিল শাবনূরের। ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে প্রয়াত সুপারস্টার নায়ক সালমান শাহর সঙ্গে জুটি বেধে তিনি ব্যাপক সফলতা পান। এই জুটি ১৪টি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেন। প্রতিটিই ছিল সুপারহিট। সালমান-শাবনূর হয়ে উঠেছিলেন ঢালিউডের সেরা জুটি।
সালমান শাহর মৃত্যুর পর রিয়াজ, শাকিল খান, ফেরদৌস এবং শাকিব খানদের সঙ্গে জুটি বেঁধেও সফলতা পান শাবনূর। নায়িকা হিসেবে সবচেয়ে বেশি সফল সিনেমা তার ঝুলিতেই। স্বীকৃতিস্বরূপ একবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ছয় বার বাচসাস পুরস্কার এবং রেকর্ড ১০ বার মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছেন শাবনূর। তাকে শেষ দেখা গেছে ২০১৫ সালে ‘পাগল মানুষ’ ছবিতে।