বাংলাদেশ সার্বভৌম সম্পদ তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে এ তহবিল শুরু হবে। আগামী পাঁচ বছরে তহবিলের মোট পরিমাণ হবে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে বেলা একটার দিকে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই সার্বভৌম সম্পদ তহবিল রয়েছে। এই তহবিল সরকার জনস্বার্থে যেকোনো খাতে ব্যবহার করতে পারবে। বিশেষ করে বিদেশিদের সঙ্গে ম্যাচিং তহবিলের ক্ষেত্রে এ ধরনের সার্বভৌম সম্পদ তহবিল থাকা জরুরি।
এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, সার্বভৌম সম্পদ তহবিল গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর আইন ও কাঠামো তৈরির কাজ শিগগিরই শুরু হবে। তখন এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
আজকের বৈঠকে কৃষিকাজে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৯৮৫ সালের এই আইনে শিরোনামে ‘কৃষিকাজ’ শব্দটি উল্লেখ ছিল না। এই আইন লঙ্ঘন করলে ১০ ধারায় শাস্তির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। আগের আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল দুই হাজার টাকা জরিমানা। নতুন আইনে দুই হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি সাত দিনের কারাদণ্ড অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া কৃষিকাজে নলকূপের লাইসেন্স প্রদানে স্থানীয় কমিটির অনুমোদনসহ বিভিন্ন নিয়মকানুন বহাল রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগের আইনে বলা ছিল, উপজেলা চেয়ারম্যানের লিখিত অভিযোগ ছাড়া এ আইনের অপরাধ আমলে নেওয়া যাবে না। তবে নতুন আইনে সংক্ষিপ্ত বিচারের (সামারি ট্রায়াল) ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া আজকের সভায় মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশের মিউচুয়াল ইভেলুয়েশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, টেকনিক্যাল কমপ্লায়েন্সের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থা উন্নত অনেক দেশের সমান। এ থেকে বলা যায় যে বাংলাদেশে সেই অর্থে মানি লন্ডারিং নেই।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও জাতীয় চার নেতার একজন কামারুজ্জামানের স্ত্রী জাহানারা জামানের মৃত্যুতে আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।