এসএসসি-১৯৮৬-৮৭ ব্যাচের ভিক্টোরিয়া ও জিকে স্কুলের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘সার্কেল-৮৬-৮৭’ এর বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার নাকুগাঁও-কামালপুর সীমান্ত সড়ক সংলগ্ন কালাপানি নামক স্থানে (মুক্তার ডেরা’য়) এ বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সার্কেল-৮৬-৮৭ ব্যাচের অনেক বন্ধু উপস্থিত ছিলেন। বনভোজনে খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি জম্পেশ আড্ডা, পুরোনো দিনের স্মৃতি কথা, ঘুরাঘুরি ও র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
বনভোজনে উপস্থিত চিকিৎসক, প্রকৌশলী, এয়ার ফোর্স কর্মকর্তা, ব্যাংক কর্মকর্তা, জন প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিল্পপতি, বিশিষ্ট ব্যবাসায়ী, কলেজের অধ্যাপক, এনজিও কর্মকর্তা ও সরকারী-বেসরকারী দফতরের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশায় প্রতিষ্ঠিত বন্ধুরা দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর পূর্বের স্কুল জীবনের বন্ধুদের নানা ঘটনার স্মৃতি চারণ করা হয়। এসময় বর্তমানে মধ্য বয়সী সকল বন্ধুই ক্ষনিকের জন্য স্মৃতির পাতায় কৈশরে ফিরে গিয়েছিলেন।
বনভোজনের রীতি অনুযায়ী বাবুর্চি ছাড়াই নিজেরাই নানা রকমের রান্না করে খাওয়া-দাওয়া করা হয়। পরিবার-পরিজনদের বাইরে বন্ধুত্বের হাতছানির ডাকে কয়েক ঘন্টার জন্য সবাই ফিরে যায় অন্য এক জগতে। যেখানে ছিলনা কোন পারিবারিক দায়িত্ব, কর্তব্য ও পেশাগত কোন কাজের তাড়া। দিনটি ছিল কেবলি বন্ধুত্বতার।
প্রকৃতি কন্যা গারো পাহাড়ের কোল ঘেষে বন্ধু জিয়াউল হক মুক্তার ডেরা’য় খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা’র পাশপাশি বনে-বাদরে ঘুরাঘুরিও হয়েছে বেশ জম্পেশ। সব শেষে সন্ধ্যায় র্যাফেল ড্র শেষে আবারও হয় পারিবারিক ও পেশাগত কাজে টানে ঘরে ফেরা।
বনভোজনে উপস্থিত ছিলেন, সার্কেল-৮৬-৮৭ এর আহ্বায়ক ডা. রুহুল কুদ্দুস রূপনসহ ডা. রতন, এনজিও কর্মকর্তা জিয়াউল হক মুক্তা, প্রকৌশলী জাকির হোসেন কর্নেল, এয়ার ফোর্স কর্মকর্তা আল আমিন, অধ্যাপক মুখলেছুর রহমান বিপু, প্রভাষক শওকত হোসেন, ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম সাদি ও আনিসুর রহমান লিখন, ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম, সাংবাদিক রফিক মজিদ, বীমা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান চঞ্চল, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী সুব্রত সাহা, প্রশান্ত সাহা, তপন তুরাহা, হিরেন্দ্র মোহন এপোলো প্রমুখ।