মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। সারাদেশে আনন্দ ও উৎসবের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করছেন সব বয়সী মানুষ। দিবসটি উপলক্ষে ঘরে ঘরে সাধ্যমতো নানা ধরনের সুস্বাদু খাবারের আয়োজনও করা হয়েছে।
এরই মধ্যে পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে রাজধানী ঢাকা ছেড়ে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরেছেন প্রায় অর্ধকোটি মানুষ।
এদিকে ঈদের দিন সকালে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে বিপুল-সংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমীন।
একই দিন সকালে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল-সংখ্যক মুসল্লি অংশ নেয়।
প্রতিবছরের মতো এবারও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। তিন ধাপের গুলির আওয়াজে সকাল ১০টায় ১৯৬তম ঈদের জামাত শুরু হয় শোলাকিয়ায়।
এদিকে আজ সারাদেশে ঈদের জামাত শেষে মোনাজাতে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনায় দোয়া করা হয়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে তাপপ্রবাহ থেকে স্বস্তি পেতে ঈদের জামাতে বিশেষ দোয়া করা হয়। এদিন সকাল ৭টায় বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর একে একে আরও চারটি জামাত হয়।
ঈদ উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু সদন, প্রবীণ নিবাস, ছোটমণি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, আশ্রয়কেন্দ্র, সেইফ হোমস, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র, দুস্থ কল্যাণ ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দুপুরের পর থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে মানুষের ঢল নামবে। এছাড়াও অনেকে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাবেন।