জাতির পিতার সংবিধান ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জাতীয় সংসদে পাসকৃত আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে উপজেলা পরিষদ কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন শেরপুর উপজেলা পরিষদ এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ।
রবিবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে শেরপুর প্রেসক্লাবের হলরুমে মতবিনিময় সভায় এই দাবি করা হয়। এসময় বক্তারা বলেন, সারাদেশে উপজেলা পরিষদ থাকলেও তা মূলত অকার্যকর।
সভায় বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সদিচ্ছা থাকলেও কতিপয় কর্মকর্তাদের নেতিবাচক মনোভাবের কারণে উপজেলা পরিষদ কার্যকর হয়নি। এজন্য উপজেলা পরিষদ প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশীদার হতে পারছে না। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে উপজেলা পরিষদকে কার্যকর করতে হবে।
তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে আইন প্রবর্তন করে ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে প্রশাসনিক একাংশ উপজেলা পরিষদ প্রবর্তন করেন। যাহা আরও কার্যকর করতে ২০১১ সালে উপজেলা পরিষদ আইনকে সংশোধন করেন। ৩য় তফসিল দ্বারা ১৭ টি বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের কার্যবলী উপজেলা পরিষদের নিকট হস্তান্তর করেন।
তারা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় উপজেলা পরিষদকে কার্যকরের জন্য কাজ করেছেন। তৃণমূলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বিত শাসন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগনের শাসন বাস্তবায়ন হবে, কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভভ হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ এসোসিয়েশন শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব এস এম এ ওয়ারেজ নাঈম, সাধারণ সম্পাদক মোকছেদুর রহমান লেবু, শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলাম, নকলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিনসহ মহিলা ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যানরা।