শান্তা-সজলের প্রেম ছিল ছয় মাসের। পরিবারের কথায় সংসারও বেঁধেছেন তারা। কিন্তু তিন মাস না যেতেই সংসারের ইতি টানেন শান্তা। সজলকে ছেড়ে স্কুলজীবনের সামিকে বিয়ে করার স্বাদ জাগে তার। বিয়ের দাবিতে ওঠেন সামির বাড়িতে।
ঘটনাটি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার। শান্তা বেগম রায়পুরা পৌর শহরের হাসিমপুর এলাকার কুদ্দুছ মিয়ার মেয়ে। সজল একই এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে। সামির বাড়িও একই এলাকায়। তার বাবার নাম নুরুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানায়, সজলকে তালাক দেওয়ার পর কিছুদিন বাবার বাড়িতেই থাকেন শান্তা। শনিবার সকালে বাবার বাড়ি থেকে পালিয়ে স্কুলজীবনের প্রেমিক সামির কাছে ছুটে যান তিনি। কিন্তু বাড়িতে শান্তা উঠতেই ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান সামি ও তার পরিবারের লোকজন। একপর্যায়ে বিয়ের দাবিতে সামিরের রান্নাঘরে অনশনে বসেন তিনি।
শান্তা বলেন, স্কুলজীবনে সামির সঙ্গে তিন বছরের প্রেম ছিল আমার। সজলের সঙ্গে বিয়ের পরও মুঠোফোনে যোগাযোগ করতেন সামি। সজলকে ছেড়ে এলে বিয়ে করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাই সজলকে ছেড়ে সামির কাছে এসেছি। সামিকে না পেলে আমি মরে যাবো। আমি শুধু তাকেই চাই।
রায়পুরা থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা চলছে।
#ডেইলি বাংলাদেশ