সাপের কান নেই। তাই শব্দ শোনার সুযোগ নেই। এক সময় সাপ খেলার বহুল প্রচলন ছিল। সাপুড়েরা বাঁশি বাজিয়ে সাপের নাচ দেখাতো। কিন্তু বর্তমানে বাঁশির সুরে যে সাপ নাচে না তা প্রায় সবারই জানা হয়ে গেছে। তাই হয়তো সাপুড়েদের দিনকাল আর ভালো যাচ্ছে না।
সাপ আসলে নাচ দেখে। সাপুড়ের শরীর দোলানো বা বীণবাঁশির ডগা দেখে নাচে সাপ। বিশেষ করে কেউটেকেই দেখা যায় খাড়া হয়ে ফণা তুলে মাথা দোলাতে।
ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. উলফগ্যাং উস্টার এর মতে, ‘এতে আশ্চর্য হওয়ার বেশি কিছু নেই। উত্তেজক কোনো পরিস্থিতিতে কেউটে খাড়া হয়ে যায়। শরীরের তিন ভাগের দুই ভাগ পর্যন্ত খাড়া করে ফেলতে পারে কেউটে। সে বুঝি বলে, দ্যাখো, আমি কোবরা, বিপজ্জনক! তুমি নিজের কাজে যাও, আমাকে শান্তিতে থাকতে দাও, নইলে বিপদে পড়বে। ’ তাই অনেকক্ষণ বাক্সবন্দি থাকার পর যখনই কেউটেকে আলোর মুখ দেখানো হয় সে খাড়া হয়ে যায়।
সাপ মূলত বাঁশি, সাপুড়ের গতিবিধি ও মাটিতে তৈরিকৃত কম্পনের জন্য এদিক-ওদিক দোল দেয়। সে কানে শোনে না। তাই বাঁশির সুরে দূর থেকে সাপ চলে আসার কথাও অসম্ভব