সেই ২০০৭ সালে পোর্ট অব স্পেনে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু। এর দেড় যুগ পর ভারতের মাটিতে আরেকটি বিশ্বকাপ হচ্ছে। এই বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সাকিব আল হাসান। এবার দলের নেতৃত্বভারও তার কাঁধে। এ নিয়ে পঞ্চম বিশ্বকাপে খেলছেন এই টাইগার অলরাউন্ডার।
বর্তমানে খেলে যাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিবের চেয়ে বেশি বিশ্বকাপে খেলার কীর্তি নেই কারো। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইয়ন মরগান মনে করেন এ কারণেই সাকিব নিজেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন।
অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতার কারণেই সাকিবকে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার ধরা হয়। সেটা আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন সাবেক এই ইংলিশ অধিনায়ক। সাকিবের এই পারফরম্যান্স তরুণ ক্রিকেটারদেরও অনুপ্রাণিত করবে বলে বিশ্বাস তার।
ধর্মশালায় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মরগান বলেন, ‘পারফর্মার সাকিব অবিশ্বাস্য। ওকে দুনিয়ার অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ধরা হয় এবং কেন ধরা হয় সেটা ওর ভালো পারফরম্যান্স এবং ধারাবাহিক পারফরম্যান্সই প্রমাণ করে। এটা ওর পঞ্চম ওয়ার্ল্ড কাপ, এখনো খেলছে এমন কোনো প্লেয়ার এতগুলো বিশ্বকাপ খেলেনি। এটাই তাকে অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার বানিয়েছে।’
বাংলাদেশের বেশিরভাগ জয়েই সিনিয়র প্লেয়ারদের অবদান থাকে। এখনো বাংলাদেশ দলের অন্যতম ভরসার নাম সাকিব, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। যদিও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ে অবদান ছিল মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তর। এ ব্যাপারটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন মরগান। তরুণরাও পারফরম্যান্স অব্যাহত রাখতে পারলে সাকিবের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
‘অতীতে তাকিয়ে যদি দেখেন, যখন তারা ম্যাচ জিতেছে, মূলত তাদের বড় নামগুলোর ওপরই নির্ভর করেছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টাতে ইতিবাচক দিক হলো, শান্ত-মিরাজের মতো তরুণরা চাপটাকে সরিয়ে দিতে পেরেছে। সাধারণত যে কাজটা আগে তাদের অভিজ্ঞরা করত। গতকালকের ম্যাচে যদি দেখেন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের অভিজ্ঞরা সব চাপ সয়ে দলকে এগিয়ে নিয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তরুণরা যা করেছে, তা যদি করে যেতে পারে তাহলে তা সাকিবের পারফরম্যান্স ও নেতৃত্বের জন্য সহায়ক হবে।’