সাংবাদিকদের এড়াতে মধ্যরাতে দুদকে ঢুকেও সাংবাদিকদের কাছ থেকে ছাড় পাননি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য পাচারের অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের এড়াতে সাড়ে ১২টায় দুদকে ঢুকেও তবুও সাংবাদিকদের কাছ থেকে ছাড় পেলাম না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য পাচারের অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুদক কার্যালয়ে প্রবেশের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
দুদক কার্যালয়ে প্রবেশের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে গণমাধ্যমে ভুল, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে। এতে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। সংবাদ প্রকাশে তারা (গণমাধ্যম) যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন মনে করছে না।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার ক্ষতি করে কুশল ও সালাম বিনিময় অপ্রয়োজনীয়। সাংবাদিকদের এড়াতে সাড়ে বারোটায় দুদকে ঢুকলাম। তবুও সাংবাদিকদের কাছ থেকে ছাড় পেলাম না।
এর আগে সকালে দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ জানান, ঘুষের কারণে নয়, তথ্য পাচারের অভিযোগে খন্দকার এনামুল বাছিরকে (দুদক পরিচালক) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ঘুষ লেনদেনের বিষয় মিডিয়ায় ভুলভাবে উপস্থাপন হয়েছে। তথ্য টুইস্ট করা হয়েছে। আমরা তাকে (খন্দকার এনামুল বাছির) ঘুষের কারণে বরখাস্ত করিনি। এটা (ঘুষ লেনদেন) তো প্রমাণের বিষয়।
দুদকের অভ্যন্তরীণ তথ্য বাইরে কিভাবে গেলো সেটাই বড় প্রশ্ন। এতে আচরণবিধি লংঘন হয়েছে। যদিও এটাও প্রমাণের বিষয়।
সুত্র: যুগান্তর।