রফিক মজিদ : অটোতে বসাকে কেন্দ্র করে সহপাঠি ছাত্রের নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে শেরপুর সরকারী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক কলেজ ছাত্রী। নির্যাতনের শিকার ওই কলেজ ছাত্রী সদর উপজেলার কামারের চর ইউনিয়নের ডুবারচর লতারিয়া গ্রামের আ. মান্নানের মেয়ে মারিয়া। ঘটনাটি ঘটেছে ২ আগস্ট বুধবার দুপুরে শহরের সজবরখিলা মোড়ে।
নির্যাতনের শিকার ওই কলেজ ছাত্রী ও সহপাঠিরা সাংবাদিকদের জানায়, প্রতিদিনের মতো আজও দুপুর বেলা বেশ কয়েকজন সহপাঠি প্রাইভেট পড়ার উদ্দ্যেশে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে শহরের সজবরখিলা মোড়ে এসে দাড়ায়। এসময় একটি অটো রিক্সা আসলে সবাই হুমরি খেয়ে পড়ে অটোতে উঠার জন্য।
এসময় সাজেদ নামে এক সহপাঠি মারিয়া’র কোলে এসে বসলে সে প্রতিবাদ জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাজেদ মারিয়াকে কিল-ঘুষি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে মারিয়া জ্ঞান হারালে চম্পট দেয় সাজেদ। এদিকে মারিয়াকে তার অন্য সহপাঠিরা উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভর্তি’র পর মারিয়ার জ্ঞান ফিরলেও মাথায় এলোপাথারি কিল-ঘুষি দেওয়ায় মাথা ব্যথার করাণে কিছুক্ষন পর পর প্রচন্ড মাথা ব্যাথার কারণে আবারও জ্ঞান হারয়ে ফেলছে বলে জানায় তার মা ও সহপাঠিরা জানায়।
এদিকে এঘটনায় সহপাঠি সাজেদ চম্পট দিলেও তার পুরো নাম ঠিকানা বলতে পাছে না সহপাঠি কেউ। তবে প্রতিদিন তাদের সাথে প্রাইভেট পড়তে যেতো বলে জানায় তারা।
এঘটনায় মারিয়ার বাবা আব্দুল মান্নান ওই সাজেদের বিচার দাবী করে বলেন, আমার মেয়ে খুব মেধাবী। তাই তার ছেলেসহপাঠিরা তাকে হিংসা করতো। মাঝে মধ্যে কলেজে আসা-যাওয়ার পথে রাস্তায় উত্ত্যক্তও করতো তাকে। আজ আমার মেয়েকে নির্যাতন করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে যে ছেলে সাজেদ তার সুষ্ঠ বিচার চাই।
মারিয়ার ব্যাপারে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক এমএ জব্বার প্রামানিক সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে মাথায় আঘাত ও ভয় পাওয়ার কারণে মেয়েটি বার বার মূর্ছা যাচ্ছে। আপাতত কিছু ওষুধ দেওয়া হয়েছে। কিছু পরীক্ষা দেওয়া হয়ছে সেগুলোর রির্পোট হাতে পেলে মূল চিকিৎসা শুরু হবে।
এদিকে এঘটানার খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ হাসপাতালে দেখতে যায় নির্যাতনে শিকার হওয়া মেয়েকে।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানায়, বিষয়টি জেনে ইতিমধ্যে ওই কলেজ শিক্ষার্থী সাজেদকে আটক করার জন্য শহরের বিভিন্ন স্থানে খোজা হচ্ছে।