জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকের বাড়িঘর ও ব্যবসায়ীপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দিনগত মধ্যরাতে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ভাটারা পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আগামী ২৬ ডিসেম্বর সরিষাবাড়ী উপজেলায় চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন হারুন অর রশিদ খান। এতে ক্ষিপ্ত হন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বোরহান উদ্দিন বাদলের সমর্থকরা। বৃহস্পতিবার রাতে নৌকার পক্ষে স্লোগান দিয়ে হারুন অর রশিদের সমর্থকদের বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠনে হামলা চালানো হয়। এতে মানিক মিয়ার স’মিলসহ তার বসতঘর, ওয়াজেদ আলী ও সুমনের মনোহারি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে তারা ভাটারা পশ্চিমপাড়ায় মোতালেব হোসেনের বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। এসময় বাসার লোকজন পালিয়ে পাশের ঝোপঝাড়ে আশ্রয় নেন।
মোতালেব হোসেনের স্ত্রী ময়না বেগম বলেন, রাত ১১টার সময় হঠাৎ বোরহান উদ্দিন বাদলের লোকজন বাড়িঘরে হামলা চালান। হামলাকারীরা ২০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যান।
স’মিল ব্যবসায়ী মানিক বলেন, মিলের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিয়ে প্রতিদিনের মতো বাড়িতে গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে ভাঙচুর ও হামলার শব্দে জেগে উঠে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে প্রাণভয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন অর রশিদ খান বলেন, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বোরহান উদ্দিন বাদলের সমর্থকরা তার সমর্থকদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বোরহান উদ্দিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর রকিবুল হক জাগো নিউজকে বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।