‘মিথ্যা মামলায়’ নেতাকর্মীদের সাজা দিয়ে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখা যাবে না বলে সরকারকে হুঁশিয়ার করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ফরমায়েশি রায় দিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাজাহানসহ ১৫ নেতাকর্মীকে সাজা দেওয়া হয়েছে। এর আগে আরো ১৫ সাবেক ছাত্রনেতাকে সাজা দিয়েছে। সরকার মনে করছে এসব সাজা দিলে বিএনপিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। কিন্তু তা সম্ভব হবে না। প্রতিদিন সাজা, একেকটা রক্তপাত হাজার হাজার জিয়ার সৈনিক সৃষ্টি হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি হচ্ছে ফিনিক্স পাখির মতো- যতই চেষ্টা করবে একে ধ্বংস করার জন্য, সেই ধ্বংসস্তুপ থেকে জেগে উঠছে। এর আগে ভেবেছিল দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে জেলে নিয়ে বিএনপিকে ধ্বংস করে দেবে। অথচ বিএনপি আরো শক্তিশালী হয়েছে, জেগে উঠেছে। এই সরকারের পতনের জন্য মরণপণ আন্দোলন শুরু করেছে। অনেক সিনিয়র নেতাদের সাজা দিয়ে আটক রেখেছে। এগুলো করে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখা যাবে না।
সোমবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিনের উদ্যোগে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে দ্রুত চিকিৎসার দাবিতে এ সমাবেশ হয়। একই দাবিতে আগামী ১৪ অক্টোবর শনিবার ঢাকাসহ সারাদেশে অনশন করবে বিএনপি। ওইদিন ঢাকায় নয়াপল্টনে বেলা ১১ টা ৩ ঘন্টার প্রতীকী অনশন হবে।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সোমবারও কয়েক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, গুমও করা হয়েছে। দয়া করে এগুলো যারা করছেন ক্ষান্ত হন, দেয়ালের লিখন পড়েন। এখনও বুঝতে পারছেন না, আপনাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে। ইতিহাস ভুলে যাবেন না। নমরূদ, ফেরাউন, হিল্টার, মুসোলনি এবং পরবর্তীতে আউয়ুব, ইয়াহিয়া পারেনি, আপনারাও পারবেন না একদলীয় শাসন ব্যবস্থা স্থায়ী করতে।’
তিনি বলেন, পরিস্কার করে বলে দিতে চাই, জনগনকে সঙ্গে নিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করা না পর্যন্ত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও জিয়ার সৈনিকরা ক্ষান্ত হবে না, তারা অবশ্যই পরাজিত করবে।
ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিনের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের পরিচালনায় আরো বক্তব্য দেন – ভাইস চেয়ারম্যান শামুসজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা নাসির উদ্দিন অসীম, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরাফত আলী সপু, রকিবুল ইসলাম বকুল, মহানগরের প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, যুব দলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, ছাত্রদলের রাশেদ ইকবাল খান প্রমুখ।