স্বাভাবিকভাবেই এই বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলের মূল তারকা নেইমার ডি সিলভা। এই ফরোয়ার্ডকে কেন্দ্র করেই সাজানো হচ্ছে ব্রাজিলের আক্রমণভাগ। সব সময় যে সফল হতে পারছেন নেইমার, তেমনটা নয়। তবে ব্রাজিল কোচ তিতে দলের ব্যর্থতার ভার নেইমারের কাঁধে দিতে নারাজ।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেইমার দেখা পাননি গোলের। সুইজারল্যান্ড ডিফেন্ডাররা অবশ্য ঠিকঠাক দাঁড়াতেই দেয়নি প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি) তারকাকে। মোট ১০ বার ফাউলের শিকার হওয়া সে ম্যাচটা ১-১ ব্যবধানের ড্র করেই শেষ করতে হয় ব্রাজিলকে।
দ্বিতীয় ম্যাচে কোস্টারিকার বিপক্ষেও পুরো ৯০ মিনিট দৌড়েও গোল পাননি নেইমার। শেষমেশ ইনজুরি টাইমের সপ্তম মিনিটে গিয়ে বিশ্বকাপের চলতি আসরে নিজের প্রথম গোলের দেখা পান নেইমার। সঙ্গে ফিলিপে কৌতিনহোর গোলে ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল। গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে অনেকবার মাটিতে পড়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন নেইমার। সঙ্গে ম্যাচ শেষে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েও নিন্দিত হয়েছেন নিজের আবেগ ধরে রাখতে না পেরে। তিতে অবশ্য হয়েছেন নেইমারের ঢাল। বলছেন তিনিও কেঁদেছেন তাঁর অধীনে ব্রাজিল দলের প্রথম জয়ের দিন।
দলের সেরা খেলোয়াড় সম্পর্কে সার্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কথা বলেছেন তিতে। ব্রাজিলিয়ান কোচের মতে, ‘আমরা নেইমারের কাঁধে দায়িত্বের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছি না। হারলে পুরো দলই হারে, জিতলেও পুরো দল। আমি পুরো ব্রাজিলের সবাইকে বলতে চাই, আমিও কেঁদেছিলাম। যখন আমি আমার স্ত্রীকে ফোন করলাম আমি খুশিতে, তৃপ্তিতে কেঁদেছিলাম। কেননা আবেগী হওয়া আমার স্বভাব। আমরা একটা ভালো ম্যাচ খেলার জন্য খুব চাপে ছিলাম, তাই আমি গর্বে কেঁদেছিলাম।’
সার্বিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে ব্রাজিল। মস্কোর স্পার্তাক স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে আজ রাত ১২টায়।
সূত্র: এনটিভি।