কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়ে গুঞ্জনের শেষ নেই। ফরাসি ফরোয়ার্ড পিএসজিতেই থাকবেন নাকি বহুদিন ধরে গুঞ্জন চলা সেই রিয়াল মাদ্রিদেই পাড়ি জমাবেন শেষ পর্যন্ত তা নিয়ে তর্কবিতর্ক চলছে।
তবে টানা তৃতীয়বারের মতো ফ্রান্সের ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর লিগ ওয়ানের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার গ্রহণের সময় এমবাপ্পে ইঙ্গিত দিলেন, সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়ে ফেলেছেন তিনি।
২৩ বছর বয়সি এ ফুটবল তারকা পিএসজিতে থাকছেন, নাকি রিয়াল মাদ্রিদে যাবেন— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি প্রায় শেষ হয়ে গেছে’। তার পরিকল্পনা আগামী ৩ জুন নেশনস লিগে ফ্রান্সের হয়ে মাঠে নামার আগেই এ বিষয়ে ঘোষণা দেবেন তিনি।
চলতি মৌসুম শেষেই পিএসজির সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের। মৌসুম শেষে চাইলে যে কোনো দলে ফ্রিতে যোগ দিতে পারবেন বিশ্বকাপ জেতা এ ফুটবলার। এদিকে তাকে দলে নিতে মরিয়া স্পেনের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ; কিন্তু ছাড়তে নারাজ পিএসজি। কদিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে কোচ পচেত্তিনো বলেছেন, কোথাও যাচ্ছেন না এমবাপ্পে।
এ মৌসুমের শুরু থেকেই এমবাপ্পের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর কথা চলতে থাকে পিএসজির সঙ্গে। তবে তার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে ব্যর্থ হয় ফরাসি ক্লাবটি। ফলে জানুয়ারিতেই সুযোগ ছিল এমবাপ্পের কাছে নতুন ক্লাব বেছে নেওয়ার। এমবাপ্পে চলতি মৌসুম শেষে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে যাচ্ছেন এমন গুঞ্জন উঠলেও এখনও কোনো ক্লাবে যাবেন, এ ফরাসি তারকা তা খোলাসা করেননি। কিন্তু এরই মাঝে পিএসজির সমর্থকদের সুসংবাদ দিলেন কোচ পচেত্তিনো। তিনি বলেন, পরের মৌসুমে তিনি এবং এমবাপ্পের দুজনই থাকছেন পিএসজিতে।
পচেত্তিনো বলেন, শতভাগ নিশ্চিতভাবে আমরা দুজনই ক্লাবে থাকছি। ক্লাবের সঙ্গে আমাদের পরিকল্পনার ব্যাপারে নিয়মিত যেসব কথাবার্তা হয় তার বাইরে সুনির্দিষ্ট কোনো আলোচনা হয়নি।
এদিকে গেল কয়েক বছর ধরে ফ্রান্সের ক্লাব ফুটবলে অলিখিত রাজার হাতে টানা তৃতীয়বারের মতো উঠেছে ফ্রান্সের ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর লিগ ওয়ানের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার। এ মৌসুমে পিএসজির শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশনে ২৫ গোল করেছেন এমবাপ্পে। অন্যকে করিয়েছেন ১৭। তাই এ দৌড়ে তার ধারেকাছেও বিবেচনায় কাউকে রাখেনি ফ্রান্সের পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠন ইউএনএফপিএ।
চমৎকার এ অর্জন আরও ভালো খেলতে অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে জানিয়েছেন এ ফরাসি তারকা। পিএসজি স্ট্রাইকার বলেন, আমি সত্যিই অভিভূত। টানা তৃতীয়বারের মতো এ পুরস্কার পাব তা ভাবিনি। এটি আমার কঠোর পরিশ্রমের ফসল। আমি পিএসজিকে ধন্যবাদ দিতে চাই। এ যাত্রায় আমাকে আরও সহযোগিতা করেছেন আমার কোচ, সতীর্থ ও ক্লাবকর্তারা। ক্লাবের শিরোপা জয়ের ইতিহাসে অংশ হতে পারাটা গর্বের।