রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘প্রত্যেক মানুষের ন্যায্য বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আইনজীবী হিসেবে তাদের সেবা দিতে হবে। আমাদের দেশে বড় লোকরা নয়, সাধারণ মানুষরাই বেশি মামলা করতে আদালতে আসে। তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনের বেশি টাকা নেওয়া উচিত না।’
দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জজকোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবীরা মো. আবদুল হামিদকে সংবর্ধনা দেন। ওই অনুষ্ঠানে এসব বলেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনো আইনজীবী যদি মামলার বাদী বা আসামি হয় তাহলে ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে কোনো আইনজীবী দাঁড়ান না। সবাই আইনজীবীর পক্ষে থাকায় সাধারণ বিচারপ্রার্থী আইনজীবী পান না। এটা ঠিক না। এ ধরনের মানসিকতা ত্যাগ করা উচিত। আইনজীবীদের ঐক্যের কারণে যেন সাধারণ মানুষ অত্যাচারিত না হয়।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আনিসুল হক দেশের উন্নয়নের বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘দেশের বাজেট একসময় ৭৫৬ কোটি টাকা ছিল। এখন তা চার লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। অচিরেই আমরা দেশের বাজেটের ৯০ শতাংশ নিজেরাই অর্থায়ন করতে পারব। এটা আমাদের বিরাট অর্জন। এই অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে আইনজীবীরা বিরাট ভূমিকা রাখতে পারেন।’
আইনমন্ত্রী কিশোরগঞ্জ জেলা বারে ‘রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ভবন’ নির্মাণে এক কোটি টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন এবং এই ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
১৯৯৬ সালে ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন। তিনি প্রায় ২০ বছর আইনপেশায় নিয়োজিত ছিলেন এবং পাঁচবার সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।
কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এম এ রশিদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহবুব-উল ইসলাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহিদুল আলম শহীদ।
তিনদিনের সফরের শুরুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গতকাল সোমবার দুপুরে হেলিকপ্টারে করে জেলা শহরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়ামে অবতরণ করেন। তিনি আগামীকাল বুধবার ঢাকায় ফিরবেন।
সূত্র: এনটিভি
শে.টা.বা.জ