কুরআন-সুন্নাহর শিক্ষা এবং আমল হলো মানুষের দুনিয়া ও পরকালের সফলতা লাভের মূলমন্ত্র। যারা এ গ্রন্থদ্বয়ের শিক্ষাকে আঁকড়ে ধরবে; তারা দুনিয়া ও পরকালে সুনিশ্চিতভাবে সফলকাম।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদায় হজের ভাষণে বলেছিলেন, ‘আমি তোমাদের মাঝে দু’টি জিনিস রেখে যাচ্ছি। একটি হলো কিতাবুল্লাহ (কুরআন) আর আমার সুন্নাহ। যারা এ দু’টিকে আঁকড়ে ধরবে তারা নাজাত পাবে।’
কুরআন ও সুন্নাহভিত্তিক আমলের বাস্তব প্রশিক্ষণ দিয়ে গেছেন প্রিয়নবি। যার ধারাবাহিকতা আজও বিদ্যমান। কিন্তু যারা এ শিক্ষা থেকে সরে দাঁড়াবে তারা হবে ক্ষতিগ্রস্ত। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈমান গ্রহণের পর মানুষকে নামাজ প্রতিষ্ঠার প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বারোপ করেছেন।
নামাজ ত্যাগের ব্যাপারে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জানিয়েছেন যে, ‘নামাজ ত্যাগকারীর কোনো আমলই কবুল হবে না।’
হাদিসে পাকে এসেছে, হজরত বুরাইদা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়অ সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আসরের নামাজ ত্যাগ করে, তার আমল নিষ্ফল হয়ে যায়।’ (বুখারি)
মানুষের আমল ‘নিষ্ফল হয়ে যাওয়া’র অর্থ হলো- নামাজ না পড়লে মানুষের অন্যান্য সব আমলই বাতিল হয়ে যায়।’ এ হাদিসের আলোকে বুঝা যায়, নামাজ ব্যতিত মানুষের অন্যান্য আমল কোনো কাজে আসবে না।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, ‘ইসলাম এবং কুফরের মধ্যে পাথক্য নির্ণয়কারী হলো নামাজ।’
আল্লাহ তাআলা নামাজকে মানুষের সব সমস্যার সমাধানমূলক ইবাদত হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় নামাজ মানুষকে অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’
সুতরাং যে ব্যক্তি নামাজ আদায় করে; সে দুনিয়ার যাবতীয় অন্যায় ও ফাহেশা কাজ থেকে মুক্ত থাকে। অন্যায় ও ফাহেশা কাজ মুক্ত থাকার অর্থই হলো দুনিয়ার জীবন ওই ব্যক্তির জন্য সুখ-শান্তিময়।
কুরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে এ কথা সুস্পষ্ট যে, ‘সফলতা লাভের মূলমন্ত্রই হলো শিরকমুক্ত ঈমান নিয়ে আল্লাহ তাআলার কর্তৃক ফজর নামাজগুলো প্রতিষ্ঠা করা।
পরিশেষে…
কোনো মানুষ যদি তাওবা করে নামাজসহ আল্লাহ তাআলার ফরজ ইবাদতগুলো আদায়ে এগিয়ে আসে তবে অবশ্যই আল্লাহ তাআলা বান্দার সব আমলগুলোকে কবুল করে নেবেন। তাতে বান্দার আগের আমলগুলোও কাজে আসবে।
কেননা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঘোষণা হলো, ‘কোনো বান্দা যদি আকাশসম গোনাহ নিয়ে আল্লাহ দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করে আল্লাহ তার প্রতি আকাশসম ক্ষমা নিয়ে এগিয়ে আসেন।’
দুনিয়ার এ ক্ষনস্থায়ী জীবনের পর রয়েছে পরকালের সীমাহীন বিশাল জিন্দেগী। যারা দুনিয়ার জীবনে কুরআন-সুন্নাহর যথাযথ বাস্তবয়ন করবে; পরকালের জীবন হতে তাদের জন্য সুখ-শান্তিময়। সে জীবনই হোক মুসলিম উম্মাহর একমাত্র চাওয়া-পাওয়া।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর বিধানগুলো যথাযথ বাস্তবায়নের তাওফিক দান করুন। বিশেষ করে নামাজ প্রতিষ্ঠায় একনিষ্ঠ হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
।। নিউজটি জাগো নিউজ ২৪ থেকে সংগৃহিত