শেষ ধাপের শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে সদর উপজেলার ১৪০টি ভোট কেন্দ্রের ৯০১টি ভোট কক্ষে প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। তবে সকাল থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম লক্ষ করা গেছে। একাধিক ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা অলস সময় পার করছেন।
ভোট দিতে আসা ষাটোর্ধ আব্দুর রহমান বলেন, কেন্দ্রে কোন সমস্যা নাই, খুব শান্তিভাবে ভোট দিছি। আমি এবারই প্রথম ইভিএমে ভোট দিলাম। কেন্দ্রে প্রচুর র্যাব, পুলিশসহ নিরাপত্তা জোরদার আছে। পাশেই মিনারা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, খুব সুন্দরভাবে ভোট হয়েছে; কোন সমস্যা নাই। যখন কম্পিউটার কইছে (বলেছে) আপনার ভোট হয়েছে, আমি হাইসা (হাসি) দিয়েছি।
জিকে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে ভোটার উপস্থিতি কম। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বেড়েই চলেছে।
রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার শুকুর মাহমুদ মিঞা বলেন, সকাল থেকে সুষ্ঠভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
তবে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মিনহাজ উদ্দিন মিনাল অভিযোগ করে জানান, ইতোমধ্যে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টকে বের করে দেয়া হচ্ছে এবং জোর করে ভোট কনফার্ম করার অভিযোগ করেছেন তিনি।
সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। ১ টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত শেরপুর সদর উপজেলায় মোট ভোটার ৩লক্ষ ৬১হাজার ২৮২জন।
নির্বাচন সুষ্ঠ করতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ২০জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, ১জন জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, ৯৮২জন পুলিশ, ৩৬ জন র্যাব, ৪ প্লাটুন বিজিবি ও ১৬৮০জন আনসার সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে। সদর উপজেলায় ১৪০টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১১৮টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ ও ২২টি কেন্দ্রকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছেন নির্বাচন কমিশন।