শুদ্ধ সংস্কৃতি ও সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে অবহেলিত জনগোষ্ঠী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন ইউনাইটেডনেশন অর্গানাইজেশন জাপান এশিয়া কালচারাল এক্সচেঞ্জ এর সি.ই.ও তুষার রায়। তিনি শনিবার শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়াতে কোচ কালচারাল এন্ড ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন আয়োজিত কোচ সমাবেশ ও সংস্কৃতি উৎসবের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘের উন্নয়নমূলনক প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেডনেশন অর্গানাইজেশন জাপান এশিয়া কালচারাল এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের ৪৫টি উপজাতীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। বিশেষ করে তাদের অধিকার রক্ষায় সচেতনতা তৈরি এবং এই সব উপজাতীর পিছিয়ে পড়া সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা মনে করি সচেতনতার অভাবে নিয়মিত চর্চা না হলে এই সব জনগোষ্ঠী ও তাদের ঐতিহ্যবাহী জীবন সংস্কৃতি হারিয়ে যাবে। তাতে বিশ্ব সংস্কৃতির অনেক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে এই বিষয়ে আমাদের সাথে সবাইকে এক সাথে এগিয়ে আসতে হবে।
স্থানীয় কোচ কালচারাল এন্ড ডেভেলপমেন্ট এ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এ কোচ সমাবেশে তার সাথে সফরসঙ্গী ছিলেন কবি প্রঙ্গন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা কবি জালাল উদ্দিন ও নাটুয়া সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও নাট্যকর্মী ইমরান হাসান শিমূল।
উল্লেখ্য তুষার রায় বাংলাদেশের অন্যতম তরুণ নাট্যকর্মী ও নাট্য সংগঠক। নাট্যসংগঠন নাট্যপুরাণের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তবে সবকিছু ছাপিয়ে গেছে তার সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের বিষয়টি। বেশকিছু দিন ধরেই ইউনাইটেডনেশন অর্গানাইজেশন জাপান এশিয়া কালচারাল এক্সচেঞ্জ, বাংলাদেশের হয়ে কাজ করছেন তিনি। এই প্রতিষ্ঠানের চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে এই অঞ্চলের বিশেষ শ্রেণীর মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়াতে কাজ করছেন। সম্প্রতি নাট্যপুরাণের অন্যতম নন্দিত প্রযোজনা ‘অমাবস্যা’ নাটকে নিয়মিত অভিনয় করছেন তিনি। এছাড়া অচিরেই নতুন একাধিক প্রযোজনা নিয়ে কাজ শুরুর কথা জানিয়েছেন এ তরুণ নাট্যকর্মী ও নাট্য সংগঠক।