এক সংবাদ পাঠিকার সঙ্গে নিজের আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডিআইজি মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, এক সাংবাদিক ভদ্র মহিলার সঙ্গে আমার কনভারসেশন হয়েছে, এজন্য আমি স্যরি।
বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। দুদক কর্মকর্তারা সম্পদের তদন্তে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত টানা সাড়ে ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাকে।
পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক মিজানের বিরুদ্ধে এ বছরের জানুয়ারিতে স্ত্রী-সন্তান রেখে আরেক নারীকে জোর করে বিয়ের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড়ের মধ্যেই এক সংবাদ পাঠিকাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এরপর ঢাকা মহানগর পুলিশের এই অতিরিক্ত কমিশনারকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংস্থাটির সেগুন বাগিচা কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়েও তাকে প্রশ্ন করা হয়। এ সময় তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমার বিরুদ্ধে ইনকোয়ারি আছে। সুতরাং উনারাই ভালো বলতে পারবেন, কতটুকু প্রমাণিত হয়েছে, কতটুকু প্রমাণিত হয়নি।
ডিআইজি মিজান বলেন, দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে। আমার ট্যাক্স ফাইলের বাইরে কোনো সম্পদ নেই। বাকিটুকু আপনারা তদন্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন।
আত্মীয়-স্বজনদের নামে কোনো সম্পদ আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে যে জায়গায় সম্পদ আছে বা আমার আত্মীয়-স্বজনের নামে যে সম্পদ আছে, তা আমার ট্যাক্স ফাইলে আছে।
ডিআইজি মিজান পুলিশের উচ্চ পদে থাকাকালে তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে দুদকে অভিযোগ আসে। বিষয়টি যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য গত ১০ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করে দুদক।