পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার উদ্যোগে আজ ১১ সেপ্টেম্বর আহবায়ক রীনা সরকারের সভাপতিত্বে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নিবার্হী অফিসার আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রবীণ শিক্ষক কবি ও প্রাবন্ধিক দ্বীপেন্দ্র ভট্টাচার্য্য। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্যাপক রজত শুভ্র চক্রবতী।
জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিকুল চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সবুজ আন্দোলন মৌলভীবাজার জেলার আহ্বায়ক সালেহ আহমদ সেলিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনার সন্দ্বীপ তালুকদার, বিএমএ শ্রীমঙ্গল’র সভাপতি ডা: হরিপদ রায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিতালী দত্ত, শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ মো: শামীম অর রশিদ তালুকদার, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক সদস্য মশিউর রহমান রিপন, শ্রীমঙ্গল পৌরসভার প্যানেল মেয়র মীর এ সালাম, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা কর্ণ চন্দ্র মল্লিক, শ্রীমঙ্গল ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক তপন তালুকদার, শ্রীমঙ্গল পাওয়ার গ্রীডের সিনিয়র সহকারী ব্যবস্থাপক প্রভাশু সরকার, ফারিয়া শ্রীমঙ্গলর সভাপতি দেবব্রত দত্ত হাবুল, শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবের সিনিয় সহ—সভাপতি শামীম আক্তার হোসেন মিন্টু, মাইটিভির মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি সঞ্জয় কুমার দে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সফল কৃষক ও প্রকৃতি প্রেমী জলিল খান, ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ, সাংবাদিক কাউছার আহমদ রিয়ন, আল ইব্রাহীম, সুহেল আহমদ, রাসেল আহমদ, সবুজ আন্দোলনের নারী নেত্রী জেরিন খান, মিতালী দাশ, নুসরাত জাহান নিলা, মুন্নি আক্তার, মালা বেগম, এনা বেগম, মালা কৈরী, সবুজ আন্দোলন কমলগঞ্জ উপজেলার নেতা মবস্বির আলী ও আব্দুল কাদির।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে শ্রীমঙ্গল তথা মৌলভীবাজার জেলা পরিবেশ রক্ষায় অনন্য ভূমিকা রাখায় শ্রীমঙ্গল বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল, স্ট্যান্ড ফর আওয়ার এন্ডেঞ্জারর্ড ওয়াইল্ডলাইফ এর খোকন সিংহ, সুহেল শ্যাম ও প্রকৃতি প্রেমী এস কে দাশ সুমনকে সম্মাননা দেয়া হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, পৃথিবীতে মানুষকে বেঁচে থাকতে হলে এই মূহুর্তে আমাদের অন্যতম কাজ হলো পরিবেশ রক্ষায় মনোনিবেশ করা। শ্রীমঙ্গলের প্রকৃতি ছিলো এমন যে, ঘন জঙ্গলের কারনে দিনের বেলা অন্ধকার থাকতো। চৌমুহনী থেকে ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে যেতে হলে জঙ্গল পাড়ি দিয়ে যেতে হতো। এক সময় শ্রীমঙ্গলের একটা অংশ সাদা বালিতে হিরার মতো চিকচিক করতো। যে কারনে ওই এলাকার নামকরণ হয় বালি হিরা। যা বর্তমানে বালিশিরা নামে পরিচিত।
তিনি বলেন, শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের বিস্তৃতি ছিলো তৎকালীণ ঢাকা—সিলেট বর্তমান মৌলভীবাজার—ঢাকা সড়কের পাশ পর্যন্ত। অধিক জনসংখ্যার কারনে হাওর ভরাট হয়ে তা এখন কয়েক কিলোমিটার দূরে চলে যাচ্ছে। ভরাট হয়ে গেছে অসংখ্য বিল। যেখানে প্রতিনিয়তই গড়ে উঠছে বাড়িঘর। শ্রীমঙ্গলের প্রত্যেকটি ছড়ার পাড় জুড়েই ছিল ঘন জঙ্গল এখন যার অবশিষ্ট নেই। ৩০ বছর আগেও লাউয়াছড়া বনে বৃষ্টি লেগেই থাকতো। বনের ভিতর দিয়ে গেলে ঠান্ডা অনুভুত হতো। কিন্তু আজ আর সেই অবস্থা নেই। আমাদের বেঁচে থাকতে হলে পরিবেশের প্রতি বিবেক জাগ্রত করতে হবে। সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে।