শেরপুরের শ্রীবরদী সীমান্তে সক্রিয় হয়ে ওঠেছে চোরাবারি সিন্ডিকেট। প্রতিদিনই ভারত থেকে চোরাই পথে অবৈধভাবে আসছে শতশত চোরাই গরু। আসছে ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ, ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাঁজা ও মোটরসাইকেল। এতেকরে সঙ্কিত হয়ে পরেছে এলাকার সচেতন মহল। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন কেউ কেউ ।
সিমান্তের বিভিন্ন সূত্র জানায় , উপজেলার সীমান্তবর্তী সিংগাবরুনা ও রানিশিমুল ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্ত ঘেষা বিভিন্ন স্থান ব্যবহার করে ভারত থেকে পাচার করে আনছে ভারতীয় গরুসহ ব্র্যান্ডের মদ, ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাঁজা ও মোটরসাইকেল। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) কর্ণঝোরা সীমান্ত ফাঁড়ির জওয়ানরার মাঝে মধ্যে ভারতীয় গরু ও মাদক জাতীয় বিভিন্ন পণ্য আটক করলেও কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না চোরাকারবারি ব্যবসা। তাছাড়া, এ এলাকার হুন্ডি ব্যবসায়ীরাও বেপরুয়া হয়ে ওঠেছে। হুন্ডি ব্যবসা অধিক লাভজনক হওয়ায় এখানে গড়ে ওঠেছে হুন্ডি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। ১ হাজার আই.সি অর্থাৎ ইন্ডিয়ান রুপি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩ শত ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪ শত টাকা। একারণেই এ এলাকায় দিনে দিনে বাড়ছে হুন্ডি ব্যবসায়ীর সংখ্যা।
বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে,এ ব্যবসার সাথে যারা জড়িত তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সিংগাবরুনা ইউনিয়নের মেঘাদল গ্রামের আবু জাফর বাচ্চা গেল্লা ও তার জামাতা আমিনুল ইসলাম, মুরগাচুরা গ্রামের ফারুক, মাটিফাটা গ্রামের মকুল, আজাদ, হযরত, মিনু মিয়া, বৈষ্টম পাড়া গ্রামের কালা মিয়া, ঝোলগাঁও গ্রামের আলী আকবর, ফিলু ওরফে রশিদ, জলংগা পাড়া গ্রামের রাজা মিয়াসহ অজ্ঞাত অনেকেই। অপরদিকে রানিশিমুল ইউনিয়নের খারামোড়া গ্রামের আব্দুর রশিদ, তৈয়ব আলী, মজিবর হাসেম ও মনিরসহ অনেকেই ভারতীয় চোরাই গরু, ভারতীয় টাকা, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মাদকের ব্যবসা করে আসছে বলে কয়েকটি সূত্র তা নিশ্চিত করেছে।
এব্যাপারে কর্ণঝোরা সীমান্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ’র সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি নাম প্রকাশে অসম্মতি জানিয়ে বলেন, আমাদের এড়িয়া ব্যাপক, আমরা প্রতিনিয়ত চোরাই গরু আটক করছি এবং সিজার লিস্ট করে গরু নিলাম করছি। হুন্ডি ব্যবসায়ীদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা এ ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের সম্পর্কে আপনারা আমাদের তথ্য দিন, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।