শেরপুরের সীমান্ত সড়ক শ্রীবরদী-কর্ণঝোড়া ব্রিজ এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ব্রিজের এক পাশে চলাচলের কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে। এতে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল গর্তের। যেটি একে বারে পড়ে যাবে ব্রিজের নিচে নদীতে।
এ ব্রিজের ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে। ভারি যানবাহনগুলোর জন্যে রয়েছে আরো বিপজ্জনক। সামান্য অসতর্কতায় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। তবে দীর্ঘদিন যাবত এ পরিস্থিতি থাকলেও আজো পড়েনি প্রশাসনের নজরে। ব্রিজের মেরামতসহ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী। স¤প্রতি সরেজমিন গেলে ওঠে এমন তথ্য।
জানা যায়, ভারতের মেঘালয় রাজ্যে ঘেষা শেরপুরের শ্রীবরদীর কর্ণঝোড়া। পর্যটন এলাকা হিসেবেও পরিচিত এ এলাকাটি। পর্যটন হলেও রাস্তার কারণে পিছিয়ে পড়ে এলাকাটি। এজন্য গত কয়েক বছর আগে যোগাযোগের ব্যবস্থার জন্য নির্মিত হয় সীমান্ত সড়কের কর্ণঝোড়া ঢেউফা নদীর উপর একটি ব্রিজ।
এরপর পাকা করণ হয় সীমান্ত এ সড়কটি। যেটি নাকি উন্নয়নের এটি একটি দৃশ্যমান। অনেকদিন থেকেই এ ব্রিজটি ভাঙা অংশ থাকলেও স¤প্রতি তা বড় আকারে ধারণ করেছে। এজন্য যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় দূর্ঘটনা। কিন্তু প্রশাসনের নজর এখনো আসে নাই। যার ফলে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছেন স্থানীয়রা।
ইউনিয়ন জাসদ নেতা আজাদ মিয়া বলেন, এটি একটি পর্যটন এলাকা। এ সড়কে প্রতিদিন শতশত গাড়ি চলাচল করে। যেভাবে ব্রিজের চলাচলের একাংশ ভেঙে পড়েছে তা অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ।
ট্রাকচালক হালিম খাঁ বলেন, মাল নিয়ে এই ব্রিজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে খুব আতঙ্গে থাকি। মনে হয়, ব্রিজ ভেঙে পড়বে। তবে এ অবস্থা স্বত্তেও ব্রিজটি মেরামতে কোনো উদ্যোগ নেই।
কর্ণঝোড়ার এক বাসযাত্রী ইমরান হাসান বলেন, এই ব্রিজের ওপর দিয়ে শতশত মানুষ যাতায়াত করেন অথচ তারা দেখেন না। যখন ভয়াবহ দূর্ঘটনা ঘটবে অনেক মানুষ মারা যাবে তখন ব্রিজটি ঠিক হবে, এর আগে নয়।
সিংগাবরনা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রেজ্জাক মজনু বলেন, এটি বর্ডার সড়ক। এ সড়কটি এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিজে কোনো দুর্ঘটনা হলে বন্ধ হবে সীমান্ত সড়কের চলাচল। এ জন্য এটি দ্রুতই মেরামত করা প্রয়োজন।
শ্রীবরদী উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।