হ্যাঁ সত্যি বলছি! শেরপুরের শ্রীবরদী পৌর এলাকার বেশিরভাগ খুঁটিতেই লাইট লাগানো আছে কিন্তু অধিকাংশ লাইটের আলো জ্বলছে না। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অলিগলি ও প্রধান সড়কে সড়কবাতি গুলোর এ অবস্থা থাকলেও কর্তৃপক্ষের এখনো কোন নজরে আসে নাই বলে জানায় স্থানীয়রা। আর আলো না জ্বলার কারণে প্রতিনিয়তই ঘটছে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা। এছাড়াও শহরের অনেক অলিগলিতে বাতি নষ্ট থাকায় মাদকসেবীরা অবাদে মাদক সেবন করে যাচ্ছে।
সরেজমিনে রাতে শ্রীবরদী পৌর শহর ঘুরে দেখা গেছে, পৌরশহরের মহল্লার অনেক সড়কেই বাতি নষ্ট থাকায় রাতের বেলা এলাকা অন্ধকারে হয়ে থাকে। অনেক দিন ধরেই এ অবস্থা বিরাজ করছে। কিছু সড়কে আশপাশের বাসাবাড়ির বাইরের বাতি, দোকানের বাতির আলোয় যতটুকু আলোকিত হয়, তা দিয়েই পথচারী ও যাবাহনকে চলাচল করতে হয়। অনেক মহল্লায় বাসাবাড়ির লোকজন বাইরের বাতি নিভিয়ে ফেললে বা দোকান বন্ধ করে দিলে সড়কে অন্ধকার নেমে আসে। এসব এলাকার গলিপথে রাতের অন্ধকারে ভুতুরে অবস্থা বিরাজ করে। তখন এসব গলিপথ ছিনতাইকারী ও মাদকসেবীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়। এসব এলাকায় চলতে গেলে প্রায়ই ঘটে চুরি-ছিনতায়ের মত ঘটনা। এসব অলিগলিতে একবার বাতি নষ্ট হলে নতুন করে লাগাতে অনেক দিন লেগে যায় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ।
পৌর শহরের ব্র্যাক রোড এলাকার বাসিন্দা মো. লিটন মিয়া শেরপুর টাইমসকে বলেন, উত্তর বাজার থেকে ব্র্যাক রোড, সাতানী মহল্লা এলাকাতে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী কম আলোর একটি বাতি লাগালেও সেটা বেশ কয়েকমাস থেকে নষ্ট হয়ে আছে। পৌর কর্তৃপক্ষ এটা দেখেও না দেখার ভান করে চলাফিরা করে।
গত কয়েক রাতে পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক ও পলিপথ ঘুরে দেখা গেছে প্রধান সড়কগুলোর অনেক বাতিই জ্বলছে না। থানার পশ্চিম পাশ দিয়ে গলিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ গলি, এখানে, দুটি মসজিদ, স্কুল, মাদরাসা সহ অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। এ গলিপথ দিয়ে রাতের বেলায় মসজিদের মুসল্লী, মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ মেয়ে-ছেলেরা চলাফিরা করে। গুলিটি সন্ধ্যা হলেই ভুতুরে অবস্থা বিরাজ করে। তবে অনেকেই বলছেন গলির বাতিগুলোর বেশির ভাগই মাদকসেবীরা নষ্ট করে ফেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলাম ও লিটন মিয়া বলেন, মাদকসেবীদের অত্যাচারে আমরা এখন অস্থির। এমনও উদাহরণ আছে একটি লাইটপোস্টে বাতি লাগালেও মাদকসেবীরা কয়েকদিনের মধ্যেই ভেঙে ফেলে বা চুরি করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী পৌরসভার মেয়র মো: আবু সাইদ শেরপুর টাইমসকে বলেন, খুব দ্রুতই নষ্ট বাতিগুলো সংস্কার ও কিছু জায়গায় নতুন করে সড়কবাতি লাগানো হবে।