শেরপুরের শ্রীবরদী পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র কাঁচা বাজারের অলিগলি ও রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন যাবত খানা খন্দ আর জলাবদ্ধতা হয়ে পরেছে। এতেকরে চরম দুর্ভোগে পরেছে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ক্রেতা-বিক্রেতা, পথচারী ও শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। পৌর বাজারের ময়লা আবর্জনা অপসারন না করা ও ড্রেনের ময়লা দীর্ঘদিন পরিস্কার না করায় কাঁচা বাজার ময়লার ভাগারে পরিণত হয়েছে। ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন কাঁচা বাজার, মাছ বাজার, মাংস বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা। এ ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষের নিরবতায় সম্প্রতি দ্রুত ময়লা আবর্জনা অপসারণ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন ভুক্তভোগিরা।
জানা যায়, ২০০৪ সালে শ্রীবরদী পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর পৌরসভার জলাবদ্ধতা দুরীকরণের লক্ষে কয়েক বছর পর শহরের কয়েকটি স্থানে ড্রেন নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ওই ড্রেন বছর না গড়াতেই চাপা পড়ে মাটির নিচে। ফলে বৃষ্টি হলেই পৌর শহেরর অলিগলি ও রাস্তাঘাটে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। এতে গচ্চা যায় সরকারের লাখ লাখ টাকা।
সরেজমিন গেলে দেখা যায়, পৌর শহেরর প্রাণকেন্দ্র অগ্রণী ব্যাংক থেকে কাঁচা বাজার, মাছ বাজার, মাংস বাজার, শুটকি বাজার, কাঁচা মালের বিভিন্ন আড়ৎ, কামিল মাদ্রাসা, হাফিজিয়া মাদ্রাসায় যাবার রাস্তাটি কাঁদা ও আবর্জনায় ময়লার ভাগারে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগি। অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা কারণে বন্ধ হয় লোকজনের চলাচল। এতে করে চরম বিপাকে পরেছে বিদ্যালয়গামী শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পথচারী ও বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা। তবে কাচাঁ বাজার, মাছ ও মাংস বাজারের অবস্থা আরো নাজুক। ওই তিন বাজারের ড্রেন গুলো ভরে গেছে ময়লা আবর্জনায়। এসব ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও পথচারীরা।
এছাড়াও কাঁচা বাজার হতে সাব রেজিষ্টার অফিস, চাল হাটি ও সোনালী ব্যাংকের যাতায়াতের সড়কটি জলাবদ্ধতার কারণে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বাজার করতে আসা ক্রেতা খন্দকার সাইদুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন যাবত সড়কটি বেহাল অবস্থা হওয়ায় চলাচল করতে পারিনা। ফলে কাচাঁ বাজার করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কাঁচামাল ব্যবসায়ী ছাদেক আলী, আবুল হোসেন, জামাল মিয়া, মাছব্যাবসায়ী হামিদুর, সাইদুর, আলাল মুন্সী ও মাংস বিক্রেতা আনোয়ার হোসেনসহ অনেকে জানান, ময়লা আবর্জনা ও জলাবদ্ধতার কারণে এই বাজারে দিন দিন ক্রেতা শুন্য হয়ে পড়ছ্।ে এতে তারা চরমভাবে ক্ষতি হচ্ছেন বলে জানান। ব্যবসায়ীরা বলেন, এখানের ড্রেনের ময়লার দুগর্ন্ধে ব্যবসা পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছি।
শ্রীবরদী কাঁচা বাজার বহুমূখী ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মিনাল বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানকার কাঁচামালের আড়ৎ মালামাল আনা নেয়া করে। কিন্তু সড়কটি জলাব্ধতার কারণে মালামাল আনা নেয়া দীর্ঘদিন থেকে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। ওই সমিতির সভাপতি আবুল কালাম বলেন, কাঁচা বাজারের জলাবদ্ধতা, ময়লা আবর্জনা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার বিষয়টি বার বার পৌর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ নিরব থাকায় আমরা নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। ড্রেনের পানি ও ময়লা আবর্জনা অপসারণের কোনো ব্যবস্থা নেই বলে স্বীকার করে পৌরসভার মেয়র আবু সাঈদ বলেন, কাঁচা বাজারের অভ্যন্তরের সড়ক ও ড্রেন নির্মাণে কোনো বরাদ্দ নেই। মাছ বাজারে পুরোনো যে ড্রেন ছিল তার পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ড্রেনগুলো আর পরিস্কার করা হয় না। তবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী থেকে ড্রেন নির্মাণের বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।