শেরপুরের শ্রীবরদী থেকে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর পার্শ্ববর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার পাহাড়ের পাশ থেকে এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝিনাইগাতীর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তঘেঁষা তাওয়াকুচা এলাকার গহিন পাহাড়ের পাশে মাটি খুঁড়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওই কৃষকের নাম জহির উদ্দীন (৭৩)। তিনি শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের খাড়ামোড়া গ্রামের বাসিন্দা। গত রোববার থেকে জহির নিখোঁজ ছিলেন। আজ শুক্রবার সকালে তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার রাতে জহির নিজ গ্রামের সোমেশ্বরী নদীসংলগ্ন এলাকায় তাঁর ধানখেত পাহাড়া দিতে যান। এরপর তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। তবে সোমেশ্বরী নদীর পাড়ে তাঁর ব্যবহৃত গামছা, থালা-বাসন পাওয়া যায়। আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় তাঁর পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাননি। পরে ওই ঘটনায় জহিরের ভাই মহসীন আলী শ্রীবরদী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এদিকে গতকাল ঝিনাইগাতীর তাওয়াকুচা এলাকার স্থানীয় লোকজন গহিন পাহাড়ের ভেতরে কবরের মতো একটি জায়গা দেখতে পান। এতে তাঁদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এরপর তাঁরা বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে ঝিনাইগাতী থানা-পুলিশকে জানান।
খবর পেয়ে থানার উপপরিদর্শক কলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে একটি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেন। অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে খাড়ামোড়া গ্রাম থেকে জহিরের স্বজনেরা ঘটনাস্থলে যান। পরে তাঁর স্বজনেরা লাশটি জহিরের বলে শনাক্ত করেন।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। উদ্ধার হওয়া লাশটি অর্ধগলিত ছিল। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুর্বৃত্তরা কৃষক জহিরকে হত্যা করে তাঁর লাশ গারো পাহাড়ে মাটিচাপা দিয়ে রেখেছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা করছে।