শেরপুরের অবৈধ ৬ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী জেলার শ্রীবরদী উপজেলায় ওই অভিযান পরিচালনা করে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা করেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুবেল মাহমুদ। এছাড়া অভিযানকালে ২টি ইটভাটার আংশিক ভেঙে দেওয়া হয়েছে ও বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযানকালে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স হালনাগাদ না থাকায় আল আমিন-১ ও ২ ব্রিকসকে ৭ লাখ টাকা, ফাতেমা ব্রিকসকে ৩ লাখ, জনতা ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা, মনিরা ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা ও একতা ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ওই সময় জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুবেল মাহমুদ বলেন, ইটভাটা স্থাপন আইন ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর ৪ ধারা মোতাবেক ইটভাটা স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু জরিমানা করা ইটভাটাগুলোর পরিবেশের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স হালনাগাদ নেই। ফলে সেগুলোতে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করাসহ দুটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, শেরপুর জেলায় চালু থাকা ৬১টি ইটভাটার মধ্যে ৫৮টিই চলছে অবৈধভাবে। সম্প্রতি উচ্চ আদালত দেশের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ মোতাবেক অবৈধ ইটভাটার তালিকা করে বন্ধের কাজ শুরু করে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর।