শেরপুরের শ্রীবরদীতে মাটিয়াকুড়া সবজি উৎপাদন সমবায় সমিতির সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
সদস্যদের সঞ্চয়কৃত প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ওই সমিতির সভাপতি গোলাপ হোসেন, সাধারন সম্পাদক মোফাখার ইসলাম শামিম ও ক্যাশিয়ার বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে।
এঘটনায় সমিতির সদস্যদের পক্ষে মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় ওই ৩ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও প্রতারণা অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ ও সমিতি সূত্রে জানা গেছে, শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার গোশাইপুর ইউনিয়নের মাটিয়াকুড়া গ্রামের কৃষকরা ২০১৫ সালের ০৯ ফেব্রুয়ারী মাটিয়াকুড়া সবজি উৎপাদন সমিতি গঠন করে। কৃষকদের উৎপাদিত সবজি ভালো দামে বিক্রির লক্ষে ওই সমিতি গঠন করা হয়। উপজেলা সমবায় কার্যালয় থেকে উক্ত সমিতি রেজিষ্ট্রেশন করা হয়। যাহার রেজি: নং- ০৭৪৬। বর্তমানে সমিতির সদস্য সংখ্যা ৮২ জন।
সমিতির সদস্যদের প্রাথমিক সদস্যপদ ও মাসিক সঞ্চয়কৃত প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা জমা হয়। সোনালী ব্যাংক লি: শ্রীবরদী শাখায় সমিতির নামে একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলা হলেও ব্যাংকের হিসাব নম্বরে সমিতির কোন টাকা জমা হয়নি। ওই টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা সমিতির সদস্য ব্যতীত বাহিরের লোকজনদের মাঝে ঋণ দেয়।
পরে ওই টাকা উত্তোলন করে ব্যাংকে জমা না দিয়ে সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও ক্যাশিয়ার আত্মসাত করে। সমিতির অধিকাংশ সদস্য অশিক্ষিত হওয়ায় তাদেরকে নানা ভাবে বুঝিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেয় তারা।
এছাড়াও ঋণ দেওয়ার কথা বলে সমিতির সদস্য ও সদস্য ব্যতীত প্রায় ২শ ৩০ জন ব্যক্তির নিকট ২ হাজার টাকা করে উৎকোচ গ্রহণ করে। বিষয়টি সমিতির সদস্যরা জানতে পেরে তাদের কাছে হিসাব চাইলে তালবাহানা শুরু করে।
এ ব্যাপারে ওই সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোফাখার ইসলাম শামিম বলেন, আমরা সমিতির সঞ্চয়সহ সকল হিসাব নিকাশ সদস্যদের স্বাক্ষরিত রেজুলেশনের মাধ্যমে সমবায় অফিসের জমা দিয়েছি। কতিপয় সদস্য বিষয়টি ভিন্নভাবে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে।
ওইসব অভিযোগ অস্বীকার করে সমিতির সভাপতি গোলাপ হোসেন বলেন, সম্প্রতি সমিতিতে একজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সভাপতি হতে চেয়েছেন। আমরা তার প্রতিবাদ করায় তারা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। আমাদের বিরুদ্ধে ওইসব অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মহিবুর রহমান জানান, গত ১১ মার্চ আমি অবসরকালীন ছুটিতে এসেছি। আমি জানি ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা সমবায় অফিসের একজন কর্মকর্তা তদন্ত করছেন।
এ অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা জেলা সমবায় অফিসের অডিট অফিসার বদরুল আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।